Katwa Pithe: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, শীতের ৩ রকম পিঠেতেই বাজিমাত কাটোয়ার গৃহবধূর
এক ক্রেতা জানালেন, এই পিঠের দোকান খোলাতে বেশ সুবিধে হয়েছে। সময় বাঁচছে। দামটাও আয়ত্বের মধ্যে। ফেসবুকে দেখে দোকানে ছুটে এসেছি। আজ পাটিসাপটা কিনলাম। বেশ ভালো হয়েছে
![Katwa Pithe: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, শীতের ৩ রকম পিঠেতেই বাজিমাত কাটোয়ার গৃহবধূর Katwa Pithe: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, শীতের ৩ রকম পিঠেতেই বাজিমাত কাটোয়ার গৃহবধূর](https://bengali.cdn.zeenews.com/bengali/sites/default/files/2022/12/07/398961-1.png)
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: শীত এলেই বাঙালির মাথায় ঘোরাফেরা করে পাটিসাপটা, মালপোয়া কিম্বা ক্ষীরের গোরুল পিঠের মতো খাবার। কিন্তু অনেকসময় বাড়িতে সেসব করা হয়ে ওঠে না খরচ ও সময়ের কথা ভেবে। খুব কম পয়সায় এলাকার মানুষের কাছে সেই স্বাদই ফিরিয়ে আনলেন কাটোয়ার এক গৃহবধূ। কাটোয়া শহরের কারবালাতলা মোড়ে এখন জমে উঠছে 'বৌদির পিঠপুলি'। সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রবল হইচই এই দোকানকে নিয়ে।
আরও পড়ুন-'বিষকন্যা'র প্রেমের ফাঁদে ৫০ ব্যবসায়ী! কে এই নামরা কাদির?
ধীরে ধীরে থাবা বসাচ্ছে শীত। রেস্তঁরায় বিরিয়ানি, চাউমিনের পাশাপাশি এইসময় ঘরে ঘরে জনপ্রিয় পিঠেপুলি, পাটিসাপটা ও ক্ষীরের গোকুল পিঠের মতে খাবার। বাঙালির রসনার সেই জায়গাটিকেই উস্কে দিয়ে বাজিমাত করেছেন কাটোয়ার গৃহবধূ শিবানী দেবনাথ। স্বামীকে সাহায্য করতেই শীতের পিঠে তৈরির কথা তাঁর মাথায় আসে। খুব ছোট্ট একটা দোকান খুলে সেইসব পিঠে তৈরি শুরু করতেই তা বাজারে এখন হিট।
ওই পিঠে তৈরির কাজটা শুরু হয়েছিল সবলা মেলা থেকে। শিবানী দেবনাথের কথায়, সংসারের হাল ফেরাতেই এই পিঠে বিক্রির উদ্যোগ। বুঝেছিলাম, অনেকে খরচ বা সময় লাগার জন্য এই ধরনের পিঠে বাড়িতে তৈরি করতে চান না। বরং তাঁরা খরচ করে পিঠে কিনতেই বেশি আগ্রহী হবেন। আমার ধারনাটা সত্যি হয়। দোকান খোলার পর থেকেই এখন মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন। মাত্র ৩০ টাকা খরচ করলেই তিন রকম পিঠে পেয়ে যাচ্ছেন তাঁরা। শীতের স্বাদও পাচ্ছেন, আবার পরিশ্রমও করতে হচ্ছে না।
পিঠে কিনতে আসা এক ক্রেতা জানালেন, এই পিঠের দোকান খোলাতে বেশ সুবিধে হয়েছে। সময় বাঁচছে। দামটাও আয়ত্বের মধ্যে। ফেসবুকে দেখে দোকানে ছুটে এসেছি। আজ পাটিসাপটা কিনলাম। বেশ ভালো হয়েছে। দেবযানী পাল নামে অন্য এক ক্রেতা বললেন, গত তিন দিন দোকানটা খুলেছে। রোজই আসছি। আমরা ঘরে এই পিঠে বানিয়ে থাকি। কিন্তু বাজারে এই দোকান ছিল না। তাই দাঁড়িয়ে দেখি কীভাবে পিঠে বানানো হচ্ছে। তবে এই পিঠের জনপ্রিয়তার প্রধান কারণ হল এর দাম ও ঝামেলা। তার পরিবর্তী তিনরকম পিঠে তিরিশ টাকায় হয়ে যাচ্ছে।