প্রথমদিনে রাস্তায় নামল হাতেগোনা বেসরকারি বাস, জেলায় জেলায় দুর্ভোগে যাত্রীরা
ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাসমালিকরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। দেড়মাস পর ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে সরকার ও বেসরকারি বাস চালুর ছাড়পত্র দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাসের চাকার আর গড়াল কই! উল্টে শিলিগুড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জেলায় ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে পরিষেবা বন্ধ রাখলেন বেসরকারি বাস মালিক। জেলায় জেলায় চরম দুর্ভোগে পড়লেন সাধারণ যাত্রীরা।
তখনও লকডাউন বা বিধিনিষেধের কড়াকড়ি ছিল না। পূর্ব বর্ধমানে কাটোয়া থেকে বিভিন্ন রুটে ১৮৭টি বাস চলত। দেড়মাস গণপরিবহণ বন্ধ থাকার পরেও পরিস্থিতি বদলাল না! এদিন সকালে সরকারি নির্দেশিকা মেনে হাতেগোনা কয়েকটি চলাচল শুরু করে। বাসের অপেক্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হল যাত্রীদের।
একই ছবি নদিয়াতেও। কৃষ্ণনগর থেকে জেলা ও রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক রুটে সাতশোর মতো বেসরকারি বাস চলে। প্রথমবার সামান্য কয়েকটি বাস রাস্তায় নেমেছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর সেই পথে হাঁটেননি বাসমালিকরা। তাঁদের দাবি, সরকার পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী বাস চালাতে বলেছে। কিন্তু রাস্তায় যাত্রীদের দেখা নেই। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, জানেন না। এদিকে সরকারি বাসে যাত্রীদের গাদাগাদি ভিড়!
আরও পড়ুন: নির্দেশিকা জারি হলেও রাস্তায় নেই সরকারি-বেসরকারি বাস, চরম দুর্ভোগে যাত্রীরা
শিলিগুড়িতেও চলল না বেসরকারি বাস। ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে পরিষেবা বন্ধ রাখলেন বেসরকারি বাসের মালিকরা। স্থানীয় রুটে বাস চললেও, চরম দুর্ভোগ পড়লেন দূরপাল্লার রুটের যাত্রীরা। শহরের তেনজিং নোরগে বাসস্ট্যান্ডে এসে ফিরতে যেতে হল অনেককেই।
প্রথমদিনেই যাত্রীদের ভোগান্তি চরমে পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল ও চন্দ্রকোনায়। বেসরকারি চালাতে গড়িমসি করছেন মালিকেরা। তার উপর রাজ্য সড়কে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে সরকারি বাসও! বাস অ্যাসোসিয়েশনের রাজ্য কমিটির সদস্য প্রভাত পানের দাবি, পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়েছে। ফলে সরকারি নির্দেশ মেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানো সম্ভব নয়। সরকারি নির্দেশিকা জারি হওয়ার পর রাস্তায় বেরিয়েছিলেন বহু মানুষ। কিন্তু সরকারি বাস চললেও, দেখা মিলল না বেসরকারি বাসের। বর্ধমানেও চরম হয়রানির শিকার হলেন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: রেড রোডে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা, রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা, মৃত ১
কম-বেশি পরিস্থিতি একইরকম হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই। বাদ গেল না কলকাতাও। এদিন শহরে ৩০০ বাস নামার কথা ছিল। শুধু সরকারি বাসই নয়, পথে দেখা মিলল বেসরকারি বাস ও মিনিবাসেরও। রেড রোডে আবার ঘটে গেল ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রেলিং ভেঙে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারল মিনিবাস। মারা গেলেন ১ জন। আহত আরও বেশ কয়েকজন।