পরপর মেয়ে হওয়ায় শিশুকন্যাকে খুন বাবা-মায়ের, ৫ দিন পর বাড়ির পুকুরেই উদ্ধার দেহ
গত ৫ দিন আগে আচমকাই সফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভজিতের শিশুকন্যা উধাও হয়ে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৫ দিন নিখোঁজ থাকার পর নিজের বাড়ির পুকুর থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হল। আর তাই দেখে পুলিসকে ঘিরে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের । পরপর দুবার কন্যা সন্তান হওয়ায় বাবা-মা ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে খুন করে পুকুরের পাঁকে পুঁতে গিয়েছিল। গত ১৫ দিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগের ভিত্তিতে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিস। কুকুর এনেও তল্লাশি চালানো হয়। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে বাড়িরই পুকুর থেকে উদ্ধার হয় শিশুকন্যার দেহ। ঘটনাটি ঘিরে চাঞ্চল্য পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সফিয়াবাদ এলাকায়। শিশুকন্যার বাবা শুভজিত্ পড়্যা, তাঁর স্ত্রী-সহ ৪ কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রথযাত্রা নিয়ে লালবাজারে বিজেপির সঙ্গে বৈঠকের ভিডিও বুধবার জমা দিতে হবে রাজ্যকে: হাইকোর্ট
গত ৫ দিন আগে আচমকাই সফিয়াবাদ গ্রামের বাসিন্দা পেশায় সিভিক ভলেন্টিয়ার শুভজিতের শিশুকন্যা উধাও হয়ে যায়। পরিবারের দাবি, রাতে । বড় মেয়েকে নিয়ে শুভজিত্ ঘুমাতে যায় আর শিশু কন্যাটি কে নিয়ে তার স্ত্রী সীমা ঘুমায় । পরের দিন সকালে তারা গ্রামের রটিয়ে দেয়, তাদের ১৫ দিনের শিশুকন্যাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: দুজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক জেনে ফেলেছিল পরিবার, আত্মঘাতী দেওর-বৌদি
গ্রামে খোঁজ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের সঙ্গে মেয়েকে খোঁজার নাটক করে শুভজিত্ও। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল, শিশুকন্যাটিকে অপহরণ করা হয়েছে। কাঁথি থানার পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে শুভজিত্, তার স্ত্রী সীমা , মা জোত্স্না ও মিনালকলিকে। তাদের কথায় একাধিক অসঙ্গতি পায় পুলিস। তখনই সন্দেহ দানা বাঁধে। এদিকে, গ্রামবাসীদের তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়, পর পর দুটি মেয়ে হওয়ায় প্রথম থেকেই মুখ ভার ছিল শুভজিত্, তার স্ত্রী ও মায়ের । তারাই এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে পুলিসকে জানায় গ্রামবাসীরা । তদন্তে নামে পুলিস। মঙ্গলবার বাড়ির পুকুরের পাঁক থেকে শিশুকন্যার দেহ উদ্ধার হয়।