Panchayat Election 2023: দুর্নীতি আর দুর্নীতি; মমতাদি আপনি নিজেকে সামলান, বোমা ফাটালেন ইসলামপুরের বিধায়ক
টাকা দিয়ে টিকিট কেনার কথা গতকাল বলেছেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। করিম চৌধুরীর মুখেও সেই একই কথা। গতাকল তিনি বলেন, টিকিট পেতে দলকে টাকা দিতে হচ্ছে। মমতার হুইপ আগের মতো নেই। মমতাদি আপনি নিজেকে সামলান।
ভবানন্দ সিংহ: দলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন ইসলামপুরের বিধায়ক ও রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরী। পছন্দের প্রার্থীরা টিকিট না পাওয়ায় তিনি ক্ষুব্ধ। তাদের অনেকেই এখন নির্দল হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাদের পাশে থাকার কথা ঘোষণা করলেন আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর কথায়, এমন দুর্নীতি দেখিনি। দুর্নীতি আর দুর্নীতি। পার্টিটার বদনাম হয়ে গিয়েছে। দলনেত্রী এর মধ্যে নেই। কিন্তু নেতারা প্রবল দুর্নীতি পরায়ণ।
আরও পড়ুন-হাইকোর্টের নির্দেশেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারল না কমিশন!
ইসালামপুরের বিধায়ক বলেন, উনি কংগ্রেস থেকে আমাকে টেনে এনেছিলেন। আমি প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সির হাত ছেড়েছিলাম। উনি বলেছিলেন, করিমদা আপনি আসুন। আমার পার্টির সম্মান বাড়বে। উনি দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। মানুষের জন্য অনেক কিছুই করেছেন। কিন্তু ওঁর দলের নেতারা পার্টিটা শেষ করে দিয়েছে। পার্টির বদনাম হয়ে গিয়েছে। শুধু দুর্নীতি আর দুর্নীতি। লজ্জায় পড়ে যাচ্ছি। মমতা এর মধ্যে নেই। এখনও তিনি ক্লিন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তার আসপাশের লোকজন অনেক গোলমাল করে দিয়েছে। অনেক নেতা আমার কথা শুনে খেপে যাবেন। কিন্তু আপনারা মমতাকে বাঁচাতে পারলেন না। ইসলামপুর বিধানসভার যেসব পঞ্চায়েতগুলো রয়েছে তার জন্য নমিনেশন দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হল না। কানহাইয়ালাল সব নিয়ে নিয়েছে। ওদের অনেক টাকা। আমরা তো টাকা নেই।
নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানো নিয়ে আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, এই লোকগুলো আমার জন্য অনেক কিছুই করেছে। এদের জন্য আমি ঘরে ঘরে যাব। বলব, এদের আপনারা জেতান। এরা জিতে এলে বোর্ড গড়বে। তৃণমূল গোটা জোলায় ঘোড়া কেনাবেচা করছে। এটা ঠিক নয়। আমাকে কেউ কিনতে পারেব না। কেউ ভয় দেখাতে পারবে না। পুলিসকেও বলেছি পক্ষপাতিত্ব করবেন না। বন্দুকবাজদের থামান। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য়াকে বলব, আপনি শুধু দলের জন্য নন। আপনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। আমি চাইব ইসলামপুরে যেন কোনও গোলমাল না হয়।
টাকা দিয়ে টিকিট কেনার কথা গতকাল বলেছেন বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। করিম চৌধুরীর মুখেও সেই একই কথা। গতাকল তিনি বলেন, টিকিট পেতে দলকে টাকা দিতে হচ্ছে। মমতার হুইপ আগের মতো নেই। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় করিম চৌধুরীকে জলে ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু মমতাদি আপনি নিজেকে সামলান। বাংলার শুধু নয়, দেশের নাম করা নেত্রী আপনি। সারা বিশ্ব আপনার নাম জানে। আপনার জন্য পশ্চিমবাংলার কত মানুষ কাঁদছে। ইসলামপুরে ৪ লাখ, ৫লাখ করে টাকা দিতে হচ্ছে টিকিটের জন্য। মমতা জানেনও সব। কিন্তু অন্য লোকেদের হাতে ক্ষমতা চলে গেছে। আগের হুইপটা সামলান মমতা।
পশ্চিম বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে সাইড করে রেখেছেন। এমনটাই অভিযোগ তুললেন করিমপুরের বিধায়ক। তিনি বলেন, অন্য পার্টি হলে আমাকে মাথায় করে রাখত। সব জায়গায় করিম চৌধুরীর নাম আছে। ন্যয্য কথা বলার জন্য আমি নিজেকে বিদ্রোহী বিধায়ক ঘোষনা করেছি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাকে বলতেই হবে। মমতা আমাকে এত মানে, কদর করে। কিন্তু কিছু লোকের জন্য আমার সাপোর্টে আসতে পারলেন না। ইসলামপুরের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আমি সবাইকে বলে দিয়েছি, কেউ প্ররোচনায় পা দেবেন না। এক গালে থাপ্পর মারলে আরেকটা গাল পেতে দেবেন। কিন্তু পালটা মার দেবেন না। আমার নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে প্রচারে যাব। নো তৃণমূল, নো কংগ্রেস, বিরোধী কোনও পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধেও বলব না। তৃণমূলের কোনও প্রার্থীর হয়েও প্রচারে যাবো না।