"জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের দায় মুখ্যমন্ত্রীর", ধরনা মঞ্চ থেকে তোপ দিলীপের
যোগ দেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, ভারতী ঘোষ, মুকুল রায়সহ আরও অনেকে। নির্ধারিত কর্মসূচি মতোই চলছে প্রতিবাদ সভা। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডকে হাতিয়ার করে আন্দোলনে শান বঙ্গ বিজেপির। শিক্ষক খুনের তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ তুলে আজ শুক্রবার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসেন দিলীপ ঘোষসহ বিজেপি নেতৃত্বরা। যোগ দেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা, ভারতী ঘোষ, মুকুল রায়সহ আরও অনেকে। নির্ধারিত কর্মসূচি মতোই চলছে প্রতিবাদ সভা। এরপর রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করার কথা রয়েছে তাঁদের।
দলীয় সূত্রের খবর, প্রথমে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধরনার অনুমতি দিতে চায়নি পুলিস। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, "গান্ধী কারও বাবার নয় যে, ধরনার অনুমতি দেবে না। ঘটনায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করেই তিনি আরও বলেন "একজন খুন হয়ে গেলেন, সেটা রাজনীতি নয়? রাজ্যপাল মনের কথা বলেছেন, এটার জন্য তৃণনূলের থেকে অনুমতি নিতে হবে কেন? রাজ্যপাল কারও দাস নয়।"
মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দেগে এদিন দিলীপের দাবি, "এখানে আসার জন্য তৃণমtলের কথা মেনে চলব না। এর জন্য পরিবর্তন আনিনি। একজন মায়ের কোল খালি হয়েছে। তার দায় মুখ্যমন্ত্রীর। এখনও পর্যন্ত উনি দু:খ প্রকাশ করেননি।"
এদিন ফের শাসক দলকে হুঁশিয়ারির সুরেই দিলীপ ঘোষ বলেন "আজ একটা ডেমো দিলাম। শান্তিপূর্ণ ভাবে এই আন্দোলন আমরা শুরু করলাম। তবে নবান্ন পৌঁছতে সময় লাগবে না। হাওড়া-কলকাতা আলাদা করে দেব। সেই ক্ষমতা বিজেপি রাখে"
পাশাপাশি এর আগেই জিয়াগঞ্জের ঘটনায় বাংলার বুদ্ধিজীবীদের 'নীরবতা' নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন ধরনা মঞ্চ থেকে ভারতী ঘোষ বলেন "তৃণমূল আজ অবলুপ্তির পথে। বুদ্ধিজীবীরা যেটা দেখার সেটাই দেখেন, যেটা শোনার সেটাই শোনেন। খুনিরা যতক্ষণ ধরা না পরছে ততক্ষণ প্রতিবাদ চলবে।"
আরও পড়ুন: দোকানে স্ত্রীর সামনেই দুষ্কৃতিদের গুলিতে খুন মুদিখানা দোকানের মালিক
জানানো হয়েছে, এরপর এই ঘটনাকে সামনে রেখে খাস দিল্লিতে দরবার করবে বিজেপি। গোটা ঘটনা জানানো হবে রাষ্ট্রপতির কাছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলবে তারা।
উল্লেখ্য জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই তোলপাড় বিভিন্ন মহল। উঠে এসেছে একেরপর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনায় ঋণ তত্বের পাশাপাশিই উঠে এসেছে পারিবারিক কলহ। এবার রাডারে বাবা-ছেলের সম্পর্ক। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মৃতর বন্ধু সৌভিক বনিকের সঙ্গেই আটক করা হয়েছে বন্ধুপ্রকাশের বাবাকে অমর পালকেও। তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তাদের সাহায্য করছে সিআইডি।