জমি বিবাদে আক্রান্ত পুলিস, ভেন্টিলেশনে হাওড়ার শ্যামপুর থানার ওসি
জমি বিবাদ কেন্দ্র করে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ওসি-সহ এএসআই। ঘটনাটি হাওড়ার শ্যামপুরের বারগ্রামের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ওসি সুমন দাস।
নিজস্ব প্রতিবেদন : জমি বিবাদ কেন্দ্র করে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে গিয়ে আক্রান্ত হলেন ওসি-সহ এএসআই। ঘটনাটি হাওড়ার শ্যামপুরের বারগ্রামের। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালের ভেন্টিলেশনে চিকিত্সাধীন রয়েছেন ওসি সুমন দাস।
ওসির চিকিত্সায় হাসপাতালের তরফে ৫ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। চিকিত্সকরা জানিয়েছেন, সুমন দাসের জ্ঞান ফিরলেও তাঁকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এখনও সঙ্কট পুরোপুরি কাটেনি। মস্তিষ্কের একাধিক জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে রয়েছে। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচারের বিষয়ে আগামীকাল সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
শ্যামপুরের বারগ্রামের ওই জমিটি নিয়ে বেশ কয়েকবছর ধরেই বিবাদ চলছিল বলে জানা গেছে। শুক্রবার সকাল থেকে দু'পক্ষের মধ্যে ফের ঝামেলা শুরু হয়। এরপরই বিবদমান একপক্ষের তরফে শ্যামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেই অভিযোগকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ফের গন্ডগোল শুরু হয় এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওসি। কয়েকজনকে আটকও করা হয়।
অভিযোগ, আটক ব্যক্তিদের ধরে থানায় নিয়ে যাওয়ার সময়ই হামলা চালানো হয় সুমনবাবুর উপর। ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। রডের আঘাতে মাথা ফেটে যায় ওসির। আহত হন এএসআই সহ আরও বেশ কয়েকজন পুলিসকর্মী।
আরও পড়ুন, টাকা চেয়ে না পেয়ে গৃহবধূর গায়ে কেরোসিন ঢেলে পুড়িয়ে মারল স্বামী!
গুরুতর জখম অবস্থায় ওসিকে প্রথমে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারপর সেখান থেকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে। ইতিমধ্যেই হামলার ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় RAF ও পুলিসবাহিনী। পৌঁছেছে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলও।