সরকারি স্কুলের করুণ ছবি! শিক্ষক আছে, পড়ুয়া নেই
সবই রয়েছে। ক্লাস ঘর থেকে শৌচালয়, রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিন্তু নেই পড়ুয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: সবই রয়েছে। ক্লাস ঘর থেকে শৌচালয়, রয়েছে পানীয় জলের ব্যবস্থা। কিন্তু নেই পড়ুয়া। প্রতিদিন নিয়ম করে স্কুলে আসেন ২ জন শিক্ষক। এলাকাবাসীদের সঙ্গে কথা বলে, নিজেরা গল্প-গুজব করেন, সময় শেষে বাড়ি ফিরে যান। এইভাবে বেশ কিছুদিন ধরে চলে আসছে গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়টি।
ঘটনাটি ঘাটালের মনোহরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোড়িগেরিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। অথচ একটা সময় প্রচুর ছাত্ৰছাত্রী ছিল। ১৯৬৩ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপন হয়। কয়েক দশক ধরে ছাত্ৰছাত্রীর কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু সেই বিদ্যালয়ে বর্তমানে পড়ুয়া সংখ্যা শূন্য।
আরও পড়ুন- কোথাও কোনও সিনেমা বন্ধের নির্দেশ নেই : মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন
কেন এমন দশা? স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গ্রামের পরিবারের সংখ্যা কম, যেটুকু আছে তাদের অধিকাংশই বাচ্চাদের বেসরকারি স্কুলে ভর্তি করান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবে কে? যদিও বা ৩ জন ছাত্র ছিল গত ডিসেম্বরে তারা ক্লাস ফাইভে উত্তীর্ণ হওয়ায় বর্তমানে স্কুলে ছাত্র সংখ্যা শূন্য হয়ে পড়েছে খোড়িগেরিয়া নেতাজি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আগে পাশের গ্রাম থেকেও পড়ুয়ারা স্কুলে আসত, বর্তমানে সেখানে নতুন স্কুল তৈরি হওয়ায় সেখান থেকে কেউ এখানে আর পড়তে আসেনা।
আরও পড়ুন- ৩ বার পাল্টি খেয়ে উল্টে গেল বাস, মারিশদায় ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা
এবিষয়ে স্কুলের শিক্ষক শেখ আতাউল হক বলেন, কয়েকবার আমরা গ্রামবাসীদের নিয়ে আলোচনায় বসেছিলাম স্কুলের ছাত্র সংখ্যা বাড়ানোর জন্য, কিন্তু সরকারি স্কুলমুখী হচ্ছে না কেউ। বেসরকারি স্কুল তারা চলে যাচ্ছে। তা ছাড়াও এই গ্রামে বসতি সংখ্যা কম, ছাত্ৰও নেই। স্কুলের ঘটনা সম্পর্কে অবগত রয়েছে স্কুল পরিদর্শক। এস আই সৌমেন দে বলেন আমার বিষয়টি জেনেছি, চেষ্টা করা হবে যাতে স্কুলটি বন্ধ না হয়। সময়ের অভাবে ওই স্কুলটি পরিদর্শনে যাওয়া হয়নি। খুব তাড়াতাড়ি স্কুলে গিয়ে সরজমিনে খতিয়ে দেখে ডিআই ও প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যানকে রিপোর্ট দেব।