Siliguri: ১৩ ধসের গেরো পেরিয়ে অবশেষে খুলল সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক...

NH 10 Reopens: প্রায় মাসখানেক ধরে বন্ধ থাকার পর আজ, বুধবার থেকে থেকে খুলে গেল শিলিগুড়ি ও সিকিম সংযোগকারী লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবিরাম বৃষ্টি এবং এর ফলে একের পর এক ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এই সড়ক।

Updated By: Jul 31, 2024, 02:43 PM IST
Siliguri: ১৩ ধসের গেরো পেরিয়ে অবশেষে খুলল সিকিমগামী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক...

নারায়ণ সিংহরায়: আনলাকি থার্টিনের গেরো পেরিয়ে ফের জেগে উঠল উত্তরের লাইফ লাইন। প্রায় মাসখানেক ধরে বন্ধ থাকার পর আজ, বুধবার থেকে থেকে খুলে গেল শিলিগুড়ি ও সিকিম সংযোগকারী লাইফলাইন ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। অবিরাম বৃষ্টি এবং এর ফলে একের পর এক ধসের জেরে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। সেভক থেকে তিস্তা বাজারের মধ্যে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৩ টি জায়গায় ধস নেমেছিল।

আরও পড়ুন: Mumbai-Howrah Train Accident Updates: মঙ্গলবার দুর্ঘটনার আগে ঘটেছিল অবিশ্বাস্য ঘটনা! মালগাড়িটির চাকা...

ধসের ফলে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের অনেকটাই তিস্তার গর্ভে চলে গিয়েছিল। বিশেষ করে শ্বেতী ঝোরা, সেলফি ধাড়া, ২৯ মাইল এলাকা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ফলে, নতুন করে পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর নতুন করে পাহাড় কেটে তৈরি করা সেই রাস্তায় আজ থেকেই যানবাহন চলাচল শুরু করা হল।

তবে সার্বিক ছাড়পত্র এখনই নয়। ভারী যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে কিছু নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। আপাতত শুধুমাত্র ছোট গাড়িকে আজ থেকে এই পথ দিয়ে যাতায়াত করার অনুমতি দিয়েছে কালিম্পং জেলা প্রশাসন। বিকল্প পথ হিসাবে কালিম্পং হয়ে লাভা লোলেগাঁও দিয়ে শিলিগুড়ি আসা যাবে এবং কালিম্পং থেকে সামতাহার পম্বু হয়ে কালিঝোরা হয়ে শিলিগুড়িতে আসা যাবে।

আরও পড়ুন: Mumbai-Howrah Train Accident Updates: মঙ্গলবার দুর্ঘটনার আগে ঘটেছিল অবিশ্বাস্য ঘটনা! মালগাড়িটির চাকা...

মে মাসের শেষ দিক থেকেই বিপদ ঘনিয়েছে এই পথে। তিস্তার জল বেড়ে ফুলে-ফেঁপে উঠেছিল লাচুং নদী। তাতে ক্ষতি হয়েছিল রাস্তাঘাট-সেতুর। কেন সিকিমে বারবার এরকম হচ্ছে? সিকিমের এই পরিস্থিতি নিয়ে তখন মতামত প্রকাশ করেছিলেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞেরা। আইআইটি খড়গপুরের জিওলজি এবং জিওফিজিক্স বিভাগ উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়েও আলোকপাত করেছিল। তারা বলেছিল, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে অগাস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত সিকিমের পাহাড়ি এলাকা পর্যটকদের পক্ষে একেবারেই নিরাপদ নয়। বরং অগাস্টের শেষ থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত জায়গাগুলি তুলনায় নিরাপদ। তাঁরা এ-ও বলেছিলেন, বর্ষার সময় পাহাড়ের পরিস্থিতি এমনিতেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। এই সময়ে একটু কম্পনেই গ্র্যাভিটি ফেলিওরের আশঙ্কা অনেক বেশি। এমনিতেই সিকিমের মতো ধসপ্রবণ এলাকা যে কোনও সময়েই বিপর্যয়প্রবণ।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল) 

.