Durgapur: বাপের বাড়ি থেকে ফিরে দেখলেন শ্বশুরবাড়ির দরজা তার জন্য বন্ধ, ধর্নায় বসলেন নববধূ
গত শনিবার তিনি দুর্গাপুরে শ্বশুরবাড়িতে ফিরলে তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। সেই রাতটা তিনি কাটান দুর্গাপুরে এক আত্মীয়র বাড়িতে। পর দিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে এলেও তাকে কেউ দরজা খুলে দেয়নি
চিত্তরঞ্জন দাস: বিয়ের পর থেকে নব দম্পতির মধ্যে অশান্তি। সেই অশান্তি গড়াল ধর্নায়। ছুটে এলেন জেলা তৃণমূল মহিলা সভানেত্রী, পুলিস। এদিকে পলাতক স্বামী। সবেমিলিয়ে মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনায় তুলকালাম দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকায়। বহু ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে বিয়ে করার দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে ধর্না দিচ্ছেন প্রেমিকা। এক্ষেত্রে একেবারে অন্য জিনিস। ধর্নায় নববধূ।
আরও পড়ুন-অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূম দেখবেন কে? বড় ঘোষণা করে দিলেন মমতা
স্থানীয় সূত্রে খবর, দুর্গাপুরের ৫৪ ফুট এলাকার যুবক তন্ময় পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ের বাসিন্দা সুস্মিতা ঘোষের। ডিসেম্বরে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। সম্প্রতি দুজন বেলিয়াতোড় থেকে অষ্টমঙ্গলা সেরে বাড়ি ফেরে। এবার 'জোড় ছাড়াতে' বাপের বাড়ি যান সুস্মিতা। সেখান থেকে শ্বশুর বাড়ি ফিরলে শুরু হয় গোলমাল।
গত শনিবার তিনি দুর্গাপুরে শ্বশুরবাড়িতে ফিরলে তাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বাড়ি ঢুকতে দেননি বলে অভিযোগ। সেই রাতটা তিনি কাটান দুর্গাপুরে এক আত্মীয়র বাড়িতে। পর দিন তিনি শ্বশুরবাড়িতে এলেও তাকে কেউ দরজা খুলে দেয়নি। বেলা গড়িয়ে সন্ধে হয়ে যায়। খবর পেয়েই নববধূর পাশে দাঁড়ান এলাকার মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী। খবর যায় ফরিদপুর পুলিস ফাঁড়িতে। পুলিস ও তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে নববধূকে তার শ্বশুরবাড়িতে ঢোকানো হয়। ভবিষ্যতে এনিয়ে যাতে কোনও অশান্তি না হয় তার কড়া ভাষায় শ্বশুরবাড়ির লোকজনকে জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। পুলিসের তরফের নজরদারি রাখা হবে বলে জানানো হয়।