স্থানীয়দের দাবি, আড়াই কিমি নতুন সড়ক পাচ্ছে বাগরাকোট

সাড়ে চার কোটি টাকার এই নির্মাণ কাজ আগামী ১৬০ দিনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে... 

Updated By: Nov 29, 2018, 09:00 AM IST
স্থানীয়দের দাবি, আড়াই কিমি নতুন সড়ক পাচ্ছে বাগরাকোট

নিজস্ব প্রতিবেদন: জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে রুগ্ন চা বাগানের তালিকাভুক্ত বাগরাকোটে "সংযোগ’ কর্মসূচি পালিত হবার এক মাস আঠারো দিনের মাথায় স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি মেনে আড়াই কিমি নতুন পূর্ত সড়ক পেতে চলেছে বাগরাকোট।

আরও পড়ুন- বিজেপি পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী দল নয়, রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে চায়: দেব

বুধবার দুপুরে বাগরাকোট বটতলা এলাকায় জিরো পয়েন্টে এই সড়ক নির্মাণ কাজের আনুষ্ঠানিক শিলান্যাস হল। পূর্ত ও সড়ক বিভাগের মাল এলাকার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ হাজরা এদিনের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বলেন, বটতলা থেকে বাগরাকোট আর্মি স্কুল পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার নতুন পিচ সড়ক নির্মাণ করা হবে। মূল সড়কটি বর্তমানের সাড়ে তিন মিটার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে পাঁচ মিটার চওড়া হবে। সড়কের দুধারে এক মিটার চওড়া ড্রেন তৈরি হবে।

আরও পড়ুন- সংখ্যা না থাকলেও তৃণমূলকে চাপে রাখতে মেয়র পদে প্রার্থী বিজেপির

অভিজিৎ বাবু বলেন সাড়ে চার কোটি টাকার এই নির্মাণ কাজ আগামী ১৬০ দিনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এদিকে, গত ৯ অক্টোবর বাগরাকোটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে "সংযোগ’ কর্মসূচি চলাকালীন স্থানীয় বাসিন্দারা সেদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত জলপাইগুড়ির জেলাশাসক শিল্পা গৌরী সারিয়ার কাছে এই সড়ক নিয়ে তাদের দীর্ঘ কয়েক বছরের যন্ত্রনার কথা তুলে ধরেছিলেন। পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝরনার জলের পাশাপাশি বর্ষাকালে এই সড়কটি যে কার্যত নর্দমায় পরিনত হয় তাও তারা জেলাশাসককে জানিয়েছিলেন। অনুষ্ঠান মঞ্চেই সেদিন জেলাশাসক দ্রুত সড়ক নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাওয়ায় একটু হলেও সড়ক নিয়ে আশার আলো দেখতে পেয়েছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। কিন্তু প্রত্যাশা যে এত তাড়াতাড়ি পূর্ণ হবে তা কল্পনার বাইরে ছিল এলাকার বাসিন্দাদের।

আরও পড়ুন- লোকসভা নির্বাচনে আপনিও পেতে পারেন বিজেপির টিকিট, রয়েছে একটাই শর্ত

প্রশাসনের এই তৎপরতাকে স্বাগত জানিয়ে বাগরাকোটের বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের নারী ও শিশু কল্যান বিভাগের কর্মাধ্যক্ষ সেলিনা ছেত্রী বলেন, নতুন সড়ক তৈরি হলে এই এলাকার মানুষের সড়ক নিয়ে নরক যন্ত্রনা আর সহ্য করতে হবে না। কয়েক দশক পুরোনো এই দাবি পূরন হওয়ায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। খুশি এলাকার মানুষও।

.