কুলটির জোড়া খুনে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!
কুলটির জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২ হাজার টাকা তোলা না পেয়েই খুন। ধৃতদের জেরা করে এমন তত্ত্বই সামনে আসছে। গত সোমবার কলেজ মোড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহকর্তা ও প্রতিবেশীর পচাগলা দেহ। এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। ধৃত ২ জনের ৯ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ।
ওয়েব ডেস্ক : কুলটির জোড়া খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২ হাজার টাকা তোলা না পেয়েই খুন। ধৃতদের জেরা করে এমন তত্ত্বই সামনে আসছে। গত সোমবার কলেজ মোড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় গৃহকর্তা ও প্রতিবেশীর পচাগলা দেহ। এরপরেই তদন্ত শুরু করে পুলিস। ধৃত ২ জনের ৯ দিনের পুলিস হেফাজতের নির্দেশ।
কুলটির কলেজ মোড়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার গৃহকর্তা অতনু ব্যানার্জির দেহ। ৫৮ বছর বয়সী অতনু একাই থাকতেন। তাঁর সঙ্গেই উদ্ধার হয় প্রতিবেশী দেবাশিস কর্মকারের দেহও। ঘটনার ৫দিনের মাথায় খুনের কিনারা করল পুলিস। ATM-এর কোড ও মোবাইল টাওয়ার লোকেশন দেখে বেলঘরিয়া থেকে কৌশিক দাস ওরফে লাল্টুকে গ্রেফতার করে পুলিস। তাকে জেরা করে অন্য অভিযুক্ত গোবিন্দ পাত্রকে কুলটি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু কী কারণে খুন হলেন অতনু ও দেবাশিস ?
অতনু ব্যানার্জি ও দেবাশিস কর্মকারের মধ্যে সমকামী সম্পর্ক ছিল বলে দাবি পুলিসের। অতনুর কাছ থেকে দু'হাজার টাকা দাবি করে কৌশিক। দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। সেইসময় ঘটনাস্থলে ছিলেন দেবাশিসও। দুষ্কৃতীরা দেবাশিসের ATM-এর পিন নম্বর জেনে নেয়। পরে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ঘটনার পরদিন সেই ATM কার্ড ব্যবহার করে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা তুলে নেয় দুষ্কৃতীরা।
সেই এটিএমের কোড, লোকেশন ও মোবাইল টাওয়ার দেখে অভিযুক্ত কৌশিককে গ্রেফতার করা হয়। আর তাকে জেরা করেই খুনের কিনারা করে পুলিস। তবে এই দু'জনই নয়, খুনে জড়িত আরও একজন। তার খোঁজেও তল্লাসি চালাচ্ছে পুলিস। ২০০৯-এ দুর্গাপুরের একটি খুনের ঘটনাতেও কৌশিক দাস জড়িত বলে পুলিসের দাবি।