৩ মাসের মধ্যেই খুলবে সাঁতরাগাছির নতুন ওভারব্রিজ
পুরনো ফুটওভার ব্রিজে লাগানো হবে সিসিটিভি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সাঁতরাগাছিতে দুর্ঘটনার দিন ৩০টি সিসিটিভিই বন্ধ ছিল। ফলে দুর্ঘটনার কোনও ফুটেজই পাওয়া যাচ্ছে না। দুর্ঘটনার পরে হুঁশ ফিরল রেলের। অন্যদিকে তিন মাসের মধ্যেই একটি ফুটওভার ব্রিজের কাজ শেষ করতে হবে। নির্মাণকারী সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেল।
সাঁতরাগাছিতে দুই ব্যক্তির মৃত্যুর পরে টনক নড়ল দক্ষিণ পূর্ব রেলের। আগামী তিনমাসের মধ্যেই নতুন ফুটওভার ব্রিজ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্রিজটি ১৬০ মিটার লম্বা ও ১২ মিটার চওড়া। আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই যাত্রীদের ব্যবহারের জন্য খুলে যাবে নতুন ফুটওভার ব্রিজটি। এছাড়াও যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তায় দক্ষিণ পূর্ব রেলের তরফে আরও বেশকিছু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন, গভীর জঙ্গলে উদ্ধার 'মহিলার' খুলি, পোশাক, হাড়গোড়! চাঞ্চল্য
সাঁতরাগাছি দিয়ে প্রতিদিন আপ ও ডাউনে তিনশোটি ট্রেন যাতায়াত করে। রয়েছে দূরপাল্লার ট্রেন। রয়েছে শহরতলির বহু ট্রেনও। রেলের হিসেব বলছে প্রতিদিন গড়ে সত্তর হাজার যাত্রী ব্যবহার করেন সাঁতরাগাছি স্টেশনকে। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক যাত্রীদের জন্য সাঁতরাগাছিতে রয়েছে একটি মাত্র ফুট ওভারব্রিজ।
এই মুহূর্তে সাঁতরাগাছি স্টেশনে সংস্কারের কাজ চলছে। ২০১৯-এর মধ্যে নতুন ফুটওভার ব্রিজ হওয়ার কথা ছিল। ২০২০ সালের মধ্যে দুটি ফুটওভার ব্রিজ খুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের দুর্ঘটনার পর আর সময় দিতে নারাজ রেল। পরিস্থিতি মোকাবিলায় নির্মাণকারী সংস্থা ইরকনকে দ্রুত কাজ শেষ করতে বলা হয়েছে। ততদিন পর্যন্ত পুরনো ফুটওভার ব্রিজে লাগানো হবে সিসিটিভি। সিসিটিভিগুলির মাধ্যমে ব্যস্ত সময়ে রেলকর্মী, রেলপুলিস নজরদারি চালাবে, যাতে কোনওভাবেই কোনও সমস্যা না হয়।
আরও পড়ুন, মোবাইল টাওয়ার লোকেশনই ধরিয়ে দিল অর্চনা পালংদার খুনে জড়িত 'তৃতীয় ব্যক্তি'কে!
একসঙ্গে ৮টি ট্রেন চলে আসায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সাঁতরাগাছি স্টেশনে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। একদিকে ৪টি ট্রেন সেইসময় সবেমাত্র প্ল্যাটফর্ম ছেড়ে বেরিয়েছে। স্টেশনে সেই ট্রেনের যাত্রীদের ভিড়। অন্যদিকে ঠিক তখনই আরও ৪টি ট্রেন আসার ঘোষণা হয়ে যায়। শুধু তাই নয়, অভিযোগ, শেষ মুহূর্তে ঘোষণায় বদল করা হয় প্ল্যাটফর্মও। ফলে ট্রেন ধরার জন্য মুহূর্তের মধ্যে হুলুস্থুল পড়ে যায় স্টেশনে। তাড়াহুড়োয় ওভারব্রিজ দিয়ে ওঠা-নামার সময় পদপিষ্ট হন প্রায় জনা তিরিশেক যাত্রী।