Nadia Panchyet Pradhan Resigns: প্রকাশ্য সভায় অভিষেকের নির্দেশ, তড়িঘড়ি ইস্তফা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের
কাঁথিতে যাওয়ার পথে মারিশদায় এলাকা ঘুরে এলাকার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির নেতাদের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় কাঁথির সভা থেকে তিনি মারিশদার প্রধান ঝুমুরানী মণ্ডলকে পদত্যাগ করার নির্দেশও দেন
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদার পর এবার নদিয়ার তাতলা। দলের সভা থেকে নির্দেশের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পদত্যাগ করলেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান। শনিবার রানাঘাটের সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'পার্থ প্রতিম দে আপনি কি আছেন? থাকলে বলুন শেষ কবে গ্রামে গিয়েছিলেন? প্রধান থাকবেন কেন? সোমবারের মধ্যে ইস্তফা দিন। চারবছর এলাকায় যাননি। তোপ দেগে তিনি বলেন, ব্লক সভাপতিদের বলছি প্রধান কাজ না করলে তার দায় আপনারও।'
আরও পড়ুন-'পঞ্চায়েত ভোট শান্তিপূর্ণ হবে; দায়িত্ব আমরা, গুন্ডামি করলে ১ ঘণ্টায় তাড়াব'
প্রকাশ্য সভায় অভিষেকের ওই ঘোষণার পরই ইস্তফা দেন তাতলা ১ নম্বর পঞ্চায়েতের প্রধান পার্থপ্রতীম দে। চাকদা ব্লক তৃণমূল সভাপতি, রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি ও চাকদার বিডিওকে তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। পার্থপ্রতীম তাঁর পদত্যাগ পত্রে লিখেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীকে তিনি নির্বাচিত হয়েছিলেন। দলীয় নির্দেশে ইস্তফা দিচ্ছি। পদত্যাগের ডেডলাইন সোমবার পর্যন্ত থাকলেও তার অনেক আগেই পদত্যাগ পত্র পাঠিয়ে দিলেন পার্থপ্রতীম। এনিয়ে তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, যে কথা বলা হচ্ছে তা ঠিক নয়। প্রধান হওয়ার পর বহুবার গ্রামে গিয়েছি। প্রথম দিন থেকেই দলটা করি। আমি নতুন তৃণমূল নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেব সেটাই মেনে নেব।
তৃণমূল সূত্রে খবর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ে কাছে খবর ছিল প্রার্থপ্রতীমকে গ্রামে দেখা যায় না। রানাঘাটের সভায় সেই কথা জানিয়েও দেন অভিষেক। এনিয়ে জি ২৪ ঘণ্টাকে প্রাক্তন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, যদি ইস্তফা দিতে হয় তাহলে বহু পঞ্চায়েত প্রধানকেই তা দিতে হবে। কারণ তাদের দেখা যায় না। কী করেন বোঝা যায় না। অন্যদিকে, অভিষেক পদত্যাগ নেওয়ার কেউ নন। বিডিওকে দিতে হবে। এটাই টিএমসি। পার্টটাই সরকার।
উল্লেখ্য, এদিনের সভায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের শুদ্ধিকরণের কথা বলেন অভিষেক। তিনি বলেন, মঞ্চে যারা বসে রয়েছেন তাদের প্রতি আমি বলল ২০০৮ সালে যদি সিপিএমের লাল চোখকে উপেক্ষা করে আমরা পঞ্চায়েত ভোটে জিততে পারি তাহলে ২০২২ সালে আমরা কেন শান্তিপূর্ণ ভোট করে ১৮৭টা গ্রাম পঞ্চায়েতে জিতব না? ভোট শান্তিপূর্ণ হবে। ভোট অবাধ হবে। ভোট গণতান্ত্রিক হবে, এই দায়িত্ব আমার। কথা দিয়ে যাচ্ছি। দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে, অভিষেকের হুঁশিয়ারি, যদি কেউ ভাবে গায়ের জোরে ভোট করব, গাজোয়ারি করব, গুন্ডামি, মস্তানি করব তাহলে তাদের ১ ঘণ্টার মধ্যে দল থেকে বের করব। আর ২ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসনকে বলব তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নাও।
প্রসঙ্গত, একইভাবে কাঁথিতে যাওয়ার পথে মারিশদায় এলাকা ঘুরে এলাকার পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির নেতাদের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধু তাই নয় কাঁথির সভা থেকে তিনি মারিশদার প্রধান ঝুমুরানী মণ্ডলকে পদত্যাগ করার নির্দেশও দেন। ঝুমুরানী ইস্তফা দিলেও বলেন, অভিষেক ইস্তফা দিতে বলতে পারেন না। তবে দল বললে ইস্তফা দিতে হবে।