মমতার প্ররোচনায় হিংসা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে হাটগাছির রিপোর্ট দিলেন মুকুল
রাজ্যের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুললেন মুকুল রায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটপরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাটগাছি। গোটা ঘটনার রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে দিলেন তৃণমূল নেতা মুকুল রায়। তাঁর দাবি, বসিরহাটে হিংসা ছড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যের প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলে মুকুল রায় বলেন,''শুধু বসিরহাটেই নয়, গোটা রাজ্যে হিংসায় প্ররোচনা দিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে কারণে বসিরহাটে বিজেপি কর্মীদের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার কথা জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে। এলাকায় যাবে বিজেপির প্রতিনিধি দল''।
3 BJP workers shot dead by TMC goons in Sandeshkhali, West Bengal. @mamataofficial is directly responsible for unleashing violence against BJP workers.
We will be reaching Union Home Minister Sh @amitshah ji to apprise him of Sandeshkhali killings.
— Mukul Roy (@MukulR_Official) June 8, 2019
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেহশখালির হাটগাছিতে বিজেপি-তৃণমূলে সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে কায়ুম মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীর। বিজেপির দাবি, তাদেরও ৩জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। পুলিস বিজেপি কর্মীদের দেহ লোপাটের চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। তৃণমূলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পাল্টা দাবি, তৃণমূলের শান্তিপ্রিয় মিছিল চলছিল। চড়াও হয়েছিল বিজেপি।
গত কয়েকদিন ধরে ওই এলাকাটি উত্তপ্ত ছিল। অভিযোগ, এদিন বিজেপির পতাকা খুলতে যায় তৃণমূলের লোকজন। বাধা দেন বিজেপি কর্মীরা। দুপক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তৃণমূল কর্মী কায়ুম মোল্লার। বিজেপির তরফেও দাবি করা হয়েছে, তাদের কর্মী তপন মণ্ডল, সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও দুজন নিখোঁজ।
আরও পড়ুন- 'জয় শ্রী রাম' স্লোগান দেওয়ায় বিজেপি কর্মীকে রাতভর পিটিয়ে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ