শ্বশুরের ঔরসেই স্ত্রীর দ্বিতীয় সন্তান! নিজের মায়ের সঙ্গে রাত কাটালেন ব্যক্তি, পরিণতি মর্মান্তিক...

জঘন্য, বিভত্স, নারকীয়-কোনও বিশেষণেই যেন মাপা যায় না বাঁকুড়ার সিমলাপাল গ্রামে।

Updated By: Aug 31, 2018, 03:49 PM IST
শ্বশুরের ঔরসেই স্ত্রীর দ্বিতীয় সন্তান! নিজের মায়ের সঙ্গে রাত কাটালেন ব্যক্তি, পরিণতি মর্মান্তিক...

নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রথম সন্তান নিয়ে সুখে ছিল দাম্পত্য জীবন। কিন্তু গোল বাঁধে যখন স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়েন! বিগ্রে যায় স্বামীর মাথা, তিনি ভাবতে থাকেন স্ত্রীয়ের সঙ্গে অন্য কারোর সম্পর্ক রয়েছে, তাঁরই ঔরসে দ্বিতীয় গর্ভধারণ করেছেন স্ত্রী। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় সন্তানে পিতা হিসাবে স্ত্রী বাবা কিংবা দাদাকেই ভাবতে শুরু করলেন ব্যক্তি। কারণ স্ত্রী নাকি ঘনঘন বাপেরবাড়ি যাওয়া শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় সন্তানের জন্ম দিলেন স্ত্রী। অশান্তি আরও বাড়তে শুরু করল। এবার রাতে স্ত্রীকে ছেড়ে নিজের মায়ের সঙ্গে শুতে শুরু করলেন স্বামী। অশান্তি এড়াতে তাই দ্বিতীয় সন্তানকেই শ্বাসরোধ করে খুন করে ফেললেন মহিলা... জঘন্য, বীভত্স, নারকীয়-কোনও বিশেষণেই যেন মাপা যায় না বাঁকুড়ার সিমলাপাল গ্রামে।

গত ২৫ আগস্ট সিমলাপালের শিলাবতির ধার থেকে বছর দেড়েকের এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ । দেহ শনাক্তকরণের পর তার মা তাপসী চট্টোপাধ্যায় দাবি করেন, ভোরবেলায় তিনি যখন নদীর পাড়ে ময়লা ফেলতে গিয়েছিলেন সেই সময় তাঁর ঘুমন্ত শিশুকে কেউ বা কারা তুলে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলেছে।  স্থানীয়দের সন্দেহ ছিল প্রথম থেকেই। প্রতিবেশীরাই দাবি করে আসছিলেন, ওই দিন ভোরে নদীতে আবর্জনা  ফেলতে যাওয়ার নাম করে নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে গিয়ে খুন করেন তার মা-ই। ঘটনার তদন্তে নামে সিমলাপাল থানার পুলিশ।

আরও পড়ুন: পর্দাফাঁস! মোমোকাণ্ডে রাজ্যে প্রথম গ্রেফতারি, ধৃত সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেধাবী ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র! জানেন কেন তিনি করেছেন এমন কাজ?

তাপসী চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর স্বামী সঞ্জিব চট্টোপাধ্যায়কে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করেন পুলিশ আধিকারিকরা। জেরার মুখে প্রথমে অস্বীকার করলেও তাপসী চট্টোপাধ্যায়ের অসংলগ্ন কথায় সন্দেহ হয় পুলিশের। এরপর বারবার জেরা করায় শেষ পর্যন্ত ভেঙ্গে পড়েন মা তাপসী চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত তিনি জানান, প্রথম সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে কোনও অশান্তি না হলেও তাঁর দ্বিতীয় সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্বামী প্রায়শই অশান্তি করতেন। স্ত্রীর দাবি, স্বামী বাবা ও ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বলে স্ত্রীকে সন্দেহ করতেন।  

ঘটনার আগের দিন রাতেও ব্যাপক গণ্ডগোল হয় দুজনের মধ্যে। অশান্তির জেরে স্বামী শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে শুতে যেতে থাকেন। এই অশান্তি থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার উপায় ভেবেছিলেন তাপসী চট্টোপাধ্যায়। শেষ পর্যন্ত নিজের সন্তানকে খুন করার সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলেন তিনি। তাপসী ও তাঁর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।

.