হাওড়ায় সেই রামুয়ার সঙ্গীর গলাকাটা দেহ উদ্ধার
মল্লিক ফটক এলাকার জিটি রোড সংলগ্ন একটি বন্ধ দোকানের বাইরে ট্রলি ভ্যানে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: হাওড়ায় যুবকের গলা কাটা দেহ উদ্ধার। বুধবার সকালে হাওড়ার মল্লিকফটল এলাকার এক যুবককে গলা কাটা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে ওই যুবকের নাম পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। পরে জানা যায়, ওই যুবকের নাম গুড্ডু। মানোয়া গত রবিবার খুন হওয়া একসময়কার হাওড়ার ত্রাস রামুয়া সঙ্গী বলে পরিচিত ছিল।
মল্লিক ফটক এলাকার জিটি রোড সংলগ্ন একটি বন্ধ দোকানের বাইরে ট্রলি ভ্যানে ওই যুবকের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে, পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। যেভাবে যুবককে খুন করা হয়েছে, তাতে পুলিসের অনুমান পিছন থেকে কেউ তার ওপর হামলা চালিয়েছে। কিন্তু যেখানে তার দেহ উদ্ধার হয়েছে, সেই এলাকায় খুনের কোনও প্রমাণ মেলেনি। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে অন্য কোথাও খুন করে দেহ ফেলে রেখে দেওয়া হয়েছে।
'মাথা কেটে ফুটবল খেলা', সোদপুরে নিজের পিস্তলের গুলিতেই খুন সেই রামুয়া
পুলিসের খাতায় গুড্ডুর নাম রয়েছে। জানা গিয়েছে, হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়ার সঙ্গী হিসাবে কাজ করতে সে। প্রসঙ্গত, গত রবিবার রাতেই সোদপুরের অমরাবতীর দক্ষিণায়নে নিজের ফ্ল্যাটেই খুন হয় রামুয়া। রামুয়া ছিল একসময়কার হাওড়ার ত্রাস। ১৯৯৬ সালে এক তোলার টাকা না পেয়ে মুন্না সিং নামে এক যুবককে খুন করে রামুয়া। তারপর তার মুণ্ডু কেটে ফুটবল খেলেছিল সে। এছাড়াও নিজেরই দুই সঙ্গীর সঙ্গে তোলার টাকা নিয়ে বচসার জেরে তাদের খুন করে দুটো করে হাত কেটে খালে ভাসিয়ে দিয়েছিল। দুটি দেহরই আর কোনও খোঁজ পায়নি পুলিস। সেই রামুয়া গত নভেম্বরেই জেল থেকে ছাড়া পায়। তারপর থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে সোদপুরের ফ্ল্যাটে ছিল সে। গত রবিবার এক্কেবারে ফিল্মি কায়দায় দুষ্কৃতীরা তারই বন্দুকের গুলিতে রামুয়াকে খুন করে। দুদিনের ব্যবধানে খুন হল মায়োয়ার। এই দুটি খুনের মধ্যে যোগ রয়েছে বলে পুলিস মনে করছে। খুনের বদলা নিতেই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেল ফরেনসিক টিম।