বিবাদ মেটাতে সালিশি, সভায় হামলায় জখম তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ৫
আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি বিমলচন্দ্র মন্ডল তাঁর কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে সালিশিতে যোগ দেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দুই প্রতিবেশীর ঝামেলা মেটানোকে কেন্দ্র করে সালিশি সভা। আর সেই সালিশি সভায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠল ২ জনের বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্রের কোপে জখম হয়েছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ ৫ জন। ঘটনাটি ঘটেছে মালাদার কালিয়াচকে আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের রামনগর গ্রামে। হামলার ঘটনায় ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, ঘর থেকে ৩ বছরের শিশুকে টেনে নিয়ে গেল চিতাবাঘ, রাতভর তল্লাশিতে উদ্ধার খণ্ডবিখণ্ড দেহ
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্তদের নাম বিমলচন্দ্র মণ্ডল (৫৫), রাধিকা মণ্ডল (৪৮), লিপিকা মণ্ডল (২৭), শীতলা মণ্ডল (৬০) ও তারেশ মণ্ডল(২৮)। অভিযুক্তরা হলেন গোপাল মণ্ডল ও কৃষ্ণ মণ্ডল। জানা গিয়েছে, গোপাল মন্ডলের সঙ্গে বিবেক মন্ডলের গন্ডগোল ছিল। কয়েকদিন আগে মহদিপুর এলাকায় বিবেক মন্ডলকে মারধর করেন গোপাল মন্ডল সহ কয়েকজন। মঙ্গলবার রাতে সেই নিয়ে সালিশি ডাকা হয় গ্রামে।
আরও পড়ুন, গৃহবধূর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে লক্ষাধিক টাকার ডাকাতি
আকন্দবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সভাপতি বিমলচন্দ্র মন্ডল তাঁর কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে সেই সালিশিতে যোগ দেন। সালিশি সভায় গোপাল মন্ডলকে হামলার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ, তারপরই গোপাল মন্ডল ও তাঁর ভাই কৃষ্ণ মন্ডল ধারালো অস্ত্র নিয়ে বিমলচন্দ্র মন্ডল সহ ৫ জনের উপর চড়াও হয়। ধারালো অস্ত্রের কোপে গুরুতর জখম হন বিমলচন্দ্র মন্ডল, রাধিকা মন্ডল, লিপিকা মন্ডল, শিতলা মন্ডল ও তারেশ মন্ডল।
আরও পড়ুন, উপদ্রব ঠেকাতে কুকুরদের নির্বীজকরণ, শহরের হাসপাতালগুলিতে ক্যাম্প করবে কলকাতা পুরসভা
রাতেই তাদের উদ্ধার করে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনেরা। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় লিপিকা মন্ডলকে স্থানান্তর করা হয়েছে কলকাতায়। অন্যদিকে রাধিকা মন্ডল, বিমল চন্দ্র মন্ডল, ও শীতলা মন্ডলের চিকিৎসা চলছে মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।