Abhishek Vs Shantanu: 'এটাই ওর শেষ পদযাত্রা হয়ে যাবে', অভিষেককে পাল্টা শান্তনুর..
'বনগাঁ লোকসভা, এমনই একটা লোকসভা, যেখানকার মানুষ কখনই অন্যায়কে সহ্য করেনি। কখনও অন্য়ায়কে সহ্য করবে না'।
প্রবীর চক্রবর্তী: মতুয়াদের বিক্ষোভের মাঝেই ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'এখান থেকেই পতন শুরু হল। এটাই ওর শেষ পদযাত্রা হয়ে যাবে', বললেন বিজেপি সাংসদ, কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর ২৪ পরগনায় অভিষেক। এদিন গাইঘাটা ক্যাম্প থেকে মতুয়াদের ঠাকুরবাড়িতে যান তিনি। প্রথমে হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক। এরপর বড়মা-র ঘরে গিয়ে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন তাঁর প্রতিকৃতিতে।
এদিকে সকাল থেকে হাতে কালো পতাকা নিয়ে ঠাকুরবাড়িতে জমায়েত করেন মতুয়ারা। শুরু হল তুমুল বিক্ষোভ, স্লোগান! নেতৃত্বে জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। পরিস্থিতি সামাল দিতে দিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। অভিষেক বলেন, 'আমি কী করে ঢুকতে না পারি, জোরজবরদস্তি মন্দিরটাকে ঘিরে রেখে দিয়েছে বিজেপির লোক দিয়ে। এই মন্দির কারও পৈতৃক সম্পত্তি নয়। যে কোন ধর্মের মানুষ এখানে আসতে পারে'। শান্তনু ঠাকুরে তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'ও বলেছে আমি চলে যাওয়ার পর ঠাকুরনগরের মাটিটা গোবর জল দিয়ে ধোবে। আমি ৩ মাস অন্তর আসব। ক্ষমতা থাকলে আটাক'।
আরও পড়ুন: Motua News: শান্তনু ঠাকুরকে 'পাকড়াওয়ে চেষ্টা'! কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে রাজ্য পুলিস
পাল্টা জবাব দিলেন শান্তনুও। তিনি বলেন, 'বনগাঁ লোকসভা, এমনই একটা লোকসভা, যেখানকার মানুষ কখনই অন্যায়কে সহ্য করেনি। কখনও অন্য়ায়কে সহ্য করবে না। এই রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আমাদের ঠাকুরকে নিয়ে যে কটুক্তি করেছেন, ও ভেবেছেন মতুয়ারা অবলা। ও ভেবেছে, মতুয়ার বোকা, কিছু বোঝে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও টের পাবেন পতনের মূল কারণ'। সঙ্গে হুঁশিয়ারি, 'সমস্ত কিছু মানুষ রেকর্ড করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় রেকর্ড হয়েছে। ১ হাজার, ২ হাজার, ৫ হাজার পুলিস পাঠিয়ে, তাঁদের সামনে মন্দিরে গুন্ডামি করেছে ও। তোমাকে সাজা পেতে হবে। হরি, গুরুচাঁদ ঠাকুর তোমাকে সাজা দেবে'।
এদিকে চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ল রাজ্য পুলিস। অভিযোগ, আহত বিজেপি কর্মীদের চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাঁদের বেধড়ক মারধর করেন তৃণমূল কর্মীরা। খবর পেয়ে শান্তনু ঠাকুর নিজে হাসপাতালে পৌঁছন। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তিধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে রাজ্য পুলিস