হাওড়ায় অনুগামীদের নিয়ে 'গেট-টুগেদার' অরূপের, চা-চক্রে রাজীব অনুগামীরাও

নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

Updated By: Dec 13, 2020, 08:58 PM IST
হাওড়ায় অনুগামীদের নিয়ে 'গেট-টুগেদার' অরূপের, চা-চক্রে রাজীব অনুগামীরাও

নিজস্ব প্রতিবেদন:  'বেসুরো' মন্তব্য করার পর কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে(Rajiv Banerjee)। রবিবার যখন রাজীবের মানভঞ্জনের চেষ্টায় নামল তৃণমূল(TMC), তখন হাওড়ায় অনুগামীদের নিয়ে আলাদা বৈঠক করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়(Arup Roy)। শহরে চা চক্রের আসরে মিলিত হলেন রাজীব অনুগামীরাও। নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত? জল্পনা তুঙ্গে রাজনৈতিক মহলে।

আরও পড়ুন: বোলপুরে হাজির অনুপম হাজরা, নাচ-গানে সারলেন জনসংযোগ

সূত্রের খবর, হাওড়ার লেকল্যান্ড কাট্রি ক্লাবে রবিবার দুপুরে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী অরূপ রায়(Arup Roy)। সেই বৈঠকে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বিধায়ক, প্রাক্তন মেয়র পারিষদ সদস্য, এমনকী কাউন্সিলররাও যোগ দেন। ছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সহ-সভাধিপতি ও ব্লক স্তরের তৃণমূল নেতারাও। বৈঠকে প্রায় সকলেই অরূপ রায়ের ভূয়সী প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। তবে গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের হাওড়ার(সদর) সভাপতি, আর এক মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা(Laxmi Ratan Shukla)। দলের অনুগত নেতা-কর্মীদের 'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচিতে স্বাস্থ্যসাথী-সহ অন্যন্য কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দেন অরূপ। হঠাৎ অনুগত দলীয় নেতাদের নিয়ে কেন বৈঠক করলেন? অরূপ রায়ের দাবি, 'এই বৈঠকের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এটা গেট-টুগেদার। অনেক আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।'

পিছিয়ে ছিলেন না রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Rajbi Banerjee) অনুগামীরাও। মধ্য হাওড়ার রায় ভবনে চা-চক্রের আয়োজন করেন তাঁরাও। যেখানে চা-চক্র অনুষ্ঠিত হয়, তার বাইরে ছিল দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশাল কাট আউট। এই চা-চক্রে হাজির ছিলেন হাওড়া পুরসভার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী।  মন্ত্রী অরূপ রায়কে কেন আমন্ত্রণ জানানো হল না? রথীনের দাবি, 'দলের কর্মী একত্রিত হয়ে এই অনুষ্ঠান করেছে। আলাদা করে কাউকে বলা হয়নি।'

আরও পড়ুন:নির্বাচনের বাকি ৬ মাস, সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে পাহাড় ও ডুয়ার্সকে : বিনয় তামাং (Binoy Tamang)

উল্লেখ্য,  গত কয়েকদিন ধরে বেসুরো বাজছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। Zee ২৪ ঘণ্টাকে তৃণমূল নেতা বলেছিলেন, 'খারাপটাকে যাঁরা খারাপ বলতে পারছে না, ভাল বলছে। ভালটাকে ভাল বলতে পারছে না, খারাপ বলছে। এই স্তাবকতায় আমি বিশ্বাসী নই। ন্যাচরালি সেখানে নম্বর কম।' এরপর তাঁর ছবি-সহ পোস্টারও পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। রাজীবের 'অভিমান' নিরসনে রবিবার বৈঠকে বসেন তৃণমূলের মহাসচিব। নাকতলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ১ঘণ্টার ওই আলোচনায় ছিলেন ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোর। বৈঠকের পর রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় অবশ্য ক্ষোভের কথা মানতে চাননি। দাবি করেছেন, দলের রণনীতি নিয়ে কথা হয়েছে। তবে তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দলের মধ্যে ক্ষোভ থাকেই। তা আলোচনার মাধ্যমেই মিটবে।      

.