চিকিত্সার খরচ চালানোর সাধ্য আর নেই, খাঁচাবন্দি হয়ে দিন কাটছে মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরীর
মা সুচিত্রা বর্মন আরও জানান, নিরুপায় হয়ে মেয়েকে খাঁচাবন্দি করে রাখতে হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: সরকারি সার্টিফিকেটে ৭৫ শতাংশ প্রতিবন্ধী বলে উল্লেখ্য থাকলেও কোনও রকম সরকারি সাহায্য পায়নি কোচবিহারের মাথাভাঙার মানসিক ভারসাম্যহীন কিশোরী ঝিলিক বর্মনের। ফলে চিকিত্সা করানো যায়নি। ফলে মেয়ের নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাকে কাঠের খাঁচায় বন্দি করে রেখেছেন বাবা-মা।
আরও পড়ুন-মধ্যরাতে ব্যারাকপুরে দুষ্কৃতী তাণ্ডব, চলল দু'রাউন্ড গুলি
ঝিলিকের বাবা শ্যামল বর্মন দিনমজুর। বাড়ির বড় ছেলে শিবু বর্মন কলজে পাঠরত। সংসারের খরচ চালিয়ে ঝিলিকের চিকিত্সা করানো এখন দুস্কর হয়ে উঠেছে পরিবারের কাছে।
জন্মের পর থেকে মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন বলে জানিয়েছেন ঝিলিকের মা সুচিত্রা বর্মন। বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কথাবার্তা বলতে পারলেও ঠিকমতো হাঁটাচলা করতে পারে না ওই কিশোরী। জন্মের পর থেকে হাত-পা একবারে শীর্ণ, বেঁকে গিয়েছে কোমর। বাড়ি থেকে যখন তখন বেরিয়ে পড়ে, রাস্তায় চলে যায়, নোংরা খেয়ে ফেলে। ফলে মেয়েকে খাঁচাবন্দি করে রাখতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সুচিত্রা।
আরও পড়ুন-Adhir-র বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ, প্রদেশ কংগ্রেসের পদ থেকে ইস্তফা সোমেন-পুত্রের
এতদিন কি চিকিত্সা হয়েছে? সুচিত্রা বর্মন জানিয়েছেন কিছু জমিজমা বিক্রি করে বেঙ্গালুরু ও উদয়পুরে গিয়ে চিকিত্সা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। এরপর চিকিত্সা করাতে গেলে চাই সরকারি সাহায্য। ফলে এমন এক অবস্থায় ওই কিশোরীর দিন কাটছে কাঠের খাঁচাতেই।
কিশোরীর মা সুচিত্রা বর্মন আরও জানান, নিরুপায় হয়ে মেয়েকে খাঁচাবন্দি করে রাখতে হয়েছে। টাকাপয়সার অভাবে চিকিৎসা করতে পারছি না। তবে এখনও আশা আছে সরকারি কোনো সাহায্য বা কোনো সংস্থা থেকে সাহায্য মিলবে। মেয়েকে হয়তো সুস্থ করে তুলতে পারব।
(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)