১০১ জোড়া হিন্দু-মুসলিম পাত্র-পাত্রীর গণবিবাহ, উপস্থিত ছিলেন খোদ অনুব্রত
এই গণবিবাহকে অভিনব বলার একটি বিশেষ কারণও আছে। শুধু হিন্দু নয়, ১০১ জোড়ার মধ্যে কিছু মুসলিম পাত্র-পাত্রীও রয়েছেন। প্রত্যেক নব দম্পতিকে দেওয়া হয়েছে দারুণ কিছু উপহার
নিজস্ব প্রতিবেদন: এই বিয়ে যেমন-তেমন বিয়ে নয়। এমন গণবিবাহ এর আগে হয়ত দেখেনি মানুষ। শুধু হিন্দু নয়, মুসলিম যুবক-যুবতীদেরও বিয়ে দেওয়া হল। উপহার হিসেবে দেওয়া হল দেড় লাখ টাকার এলআইসি থেকে শুরু করে কানের দুল, বিছানা, সেলাই মেশিন, আলমারি, এলইডি টিভি, বাসন-কোসন আরও অনেক কিছু।
ঠিক যেমন করে আর পাঁচটা বিয়ে হয় ঠিক সেভাবেই বিয়ে হল এই ১০১ জোড়া পাত্রপাত্রীর। পাত্রপক্ষ ও পাত্রীপক্ষকে থাকার বন্দোবস্ত থেকে শুরু করে বিয়ের নিয়মকানুন কোনও কিছুতেই খামতি ছিল না। ঢোল,তাশা ,ব্যাঞ্জো বাজিয়ে রনপা সাজিয়ে শুরু হয় শোভাযাত্রা। শোভাযাত্রা এসে মেশে কঙ্কালেশ্বরী কালী বাড়ির মাঠে। আর সেখানেই চোখ ধাঁধানো গণবিবাহের আয়োজন।
এই গণবিবাহকে অভিনব বলার একটি বিশেষ কারণও আছে। শুধু হিন্দু নয়, ১০১ জোড়ার মধ্যে কিছু মুসলিম পাত্র-পাত্রীও রয়েছেন। প্রত্যেক নব দম্পতিকে দেওয়া হয়েছে দারুণ কিছু উপহার। দেড় লাখ টাকার এলআইসি থেকে শুরু করে কানের দুল; বিছানা; সেলাই মেশিন; আলমারি ;এলইডি টিভি, বাসন-কোসন আরও অনেক কিছু। পাত্র পেয়েছেন সাইকেল।
আরও পড়ুন- গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুন করে আত্মঘাতী ‘প্রেমিক’
সংসারের কঠিন পথে চলতে যাতে অসুবিধা না হয় সেজন্য একমাসের চাল ডাল তেল নুন থেকে শুরু করে মাসের শাকসব্জি সবই দেওয়া হয়েছে। পাত্র-পাত্রীদের যাতে সংসার সুখের হয় তাই এই ব্যবস্থা।এই অভিনব গণবিবাহ বেশ কয়েক বছর ধরেই আয়োজন করে আসছেন প্রাক্তন কাউন্সিলার খোকন দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। বিয়েতে পরিবারের লোকজন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বেশ কিছু উত্সাহী মানুষ। সকলের জন্যই ছিল এলাহি আয়োজন।