গান স্যালুট, ভেজা চোখে শেষ বিদায় নদিয়ার শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষকে

বাড়িতে আনার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে সুবোধের পরিবার। চোখে জল গ্রামবাসীর।

Updated By: Nov 16, 2020, 12:31 AM IST
গান স্যালুট, ভেজা চোখে শেষ বিদায় নদিয়ার শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষকে

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাত এগারোটার একটু পরে নদিয়ার রঘুনাথপুরের বাড়িতে পৌঁছল কাশ্মীরে শহিদ জওয়ান সুবোধ ঘোষের নিথর দেহ। সেনার ট্রাক গ্রামে ঢোকার পরই তাকে ঘিরে ধরে কয়েক শো মানুষ। স্লোগান উঠতে থাকে ভারত মাতা কি জয়, সুবোধ ঘোষ অমর রহে। সকাল থেকেই এলাকায় প্রস্তুতি ছিল। গ্রামের মানুষ, প্রশাসনের লোকজন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

বাড়িতে আনার পরই কান্নায় ভেঙে পড়ে সুবোধের পরিবার। চোখে জল গ্রামবাসীর। শহিদ সেনানির বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি স্কুল মাঠে নিয়ে যাওয়া হয় কফিনবন্দি দেহ। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান এলাকার মানুষজন।

আরও পড়ুন-অধ্যায়ের অবসান, গার্ড অফ অনারে বিদায় 'অপু'কে

শহিদ সুবোধ ঘোষকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে স্কুল মাঠে একটি অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। সেখানেই তাঁকে শ্রদ্ধা জানান এলাকার বিধায়ক ও সাংসদ। তবে রানাঘাটের সাংসদকে মঞ্চের কাছে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তবে শেষপর্যন্ত তাঁকে যেতে দেওয়া হয়। পৌঁছেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র। গান স্যালুটে শ্রদ্ধা জানানো হয় শহিদ সুবোধ ঘোষকে।

উল্লেখ্য, রবিবার বিকেলে চণ্ডীগড় থেকে বিশেষ বিমানে পানাগড়ে এসে পৌঁছায় জাওয়ান সুবোধ ঘোষের কফিনন্দি দেহ। সেখান থেকে সড়কপথে তাঁর দেহ নিয়ে নদিয়ার রঘুনাথ পুরের দিকে রওনা দেয় সেনাবাহিনী।
পানাগড়ে  শহিদ সুবোধ ঘোষের মরদেহ মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান সেনা বাহিনী ও বায়ুসেনার অফিসাররা। অনুষ্ঠানে ছিলেন দুর্গাপুর ডিভিশনের পুলিস কর্তারা।

১৯৯৭ সালের ১৩ মার্চ নদিয়ার তেহট্টের রঘুনাথপুর গ্রামে জন্ম সুবোধ ঘোষের। ২০১৭-র ২৮ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীতে যোগ দেন সুবোধ ঘোষ। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৫৯ নম্বর মেড রেজিমেন্টের জওয়ান ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন-শিরদাঁড়া সোজা রেখে বেলাশেষেও প্রতিবাদী সৌমিত্র 

সেনাবাহিনীতে যোগদানের পরই ২০১৯-এর ১৯ নভেম্বর সাত পাকে বাঁধা পড়েন জওয়ান সুবোধ ঘোষ। বিয়ে করেন অনিন্দিতা ঘোষকে। এবছরের ১৯ অগাস্ট ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দেন অনিন্দিতা।   

মেয়ের জন্মের পরই অবশ্য সুবোধকে ফিরে যেতে হয় ডিউটিতে। কথা দিয়েছিলেন ডিসেম্বরে ছুটি নিয়ে বাড়ি আসবেন। তখনই মেয়ের অন্নপ্রাশন দেবেন। কিন্তু সেই সাধ অপূর্ণ রয়ে গেল।

.