Ketugram: সুদের টাকা না দেওয়াও দড়ি বেঁধে ফেলা হল রেললাইনে, সরকারী কর্মীর কাটা গেল পা!
ওই দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ যেভাবে তার পা বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে দাবি তাতে যে পা কাটা উচিত ছিল তা না কেটে কাটা গিয়েছে অন্য পা। তাই এনিয়ে তদন্ত করছে পুলিস।
সন্দীপ ঘোষ চৌধুরী: কেতুগ্রামের কাছে একটি স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে বাদ গেল এক ব্যক্তির একটি পা। অন্য পা-টির অবস্থাও খারাপ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু মারাত্মক আহত রুদ্রভৈরব মুখোপাধ্যায় নামে ওই ব্যক্তি যে অভিযোগটি করছেন তা গুরুতর। বৃহস্পতিবার কাটোয়া আজিমগঞ্জ লাইনের কেতুগ্রামের শিবলুন স্টেশনের অম্বলগ্রাম রেল লাইনের কাছে এই ঘটনা ঘটে। সংবাদমাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন,সুদের টাকা দিতে না পরায় তার হাত-পা বেঁধে রেললাইনে ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন- অরুণাচলের দুর্গম পাহাড়ে ভেঙে পড়ল সেনা কপ্টার
আহত রুদ্রভৈরবের পরিবারের তরফে এখনও কোনও অভিযোগ করা হয়নি। কিন্তু প্রশ্ন, ওই সরকারি কর্মীকে এভাবে প্রায় মেরে ফেলার চক্রান্ত করল কে? রুদ্রভৈরব জানিয়েছেন, তিনি তাঁর অফিসের এক সহকর্মী ও বন্ধুর কাছ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন। সেই টাকা শোধের পর তার সুদ বাবদ কয়েক লক্ষ টাকা চাইছিল। এর জন্য গত কিছুদিন ধরে তারা প্রবল চাপ সৃষ্টি করতে থাকে। কিন্তু টাকা জোগাড় করতে পারেননি তিনি।
বহস্পতিবার সন্ধেয় কাটোয়া থেকে শিবলুন গ্রামে ফিরছিলেন রুদ্রভৈরব। গ্রামে ঢোকার মুখে তার পথ আটকায় বাইক আরোহী ২ ব্যক্তি। তারা জোর করে তাকে বাইকে তুলে নিয়ে চলে যায়। এরপর কিছু খাইয়ে তার হাত-পা বেঁধে রেললাইনে ফেলে রেখে চলে যায়। ওই লাইনে এসে পড়ে ইন্টারসিটি এক্সপ্রেস। সেই ট্রেনেই পা কেটে যায় রুদ্রভৈরবের এমনটাই তিনি দাবি করেছেন। তবে ওই দাবি কতটা সত্যি তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ যেভাবে তার পা বেঁধে রাখা হয়েছিল বলে দাবি তাতে যে পা কাটা উচিত ছিল তা না কেটে কাটা গিয়েছে অন্য পা। তাই এনিয়ে তদন্ত করছে পুলিস।