Mobile Blast: পকেটে রাখা মোবাইলে বিস্ফোরণ! হাওড়ায় গুরুতর জখম যুবক
বেশ কিছুক্ষণ ঘাঁটাঘাঁটি করার পর মোবাইলটি পকেটে রাখেন ওই যুবক। এরপর বিকট শব্দে বিস্ফোরণ! শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে তাঁর।
দেবব্রত ঘোষ: ব্যবধান মাত্র মাস দেড়েকের। পকেটেই ফেটে গেল মোবাইল! বিস্ফোরণের জেরে আঘাত লাগল শরীরের একাধিক জায়গায়। গুরুতর জখম যুবক। মালদহের কালিয়াচকের পর এবার হাওড়ায় ডোমজুড়।
জানা গিয়েছে, আহত যুবকের নাম কিরণ সাঁতরা। বাড়ি, ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে। পাড়ায় গণেশ পুজো হচ্ছে। এদিন সকালে পুজো মণ্ডপে বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন কিরণ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বেশ কিছুক্ষণ ঘাঁটাঘাঁটি করার পর মোবাইলটি পকেটে রেখে দেন তিনি। এরপর আচমকাই মোবাইলে বিস্ফোরণ ঘটে। গুরুতর জখম হন কিরণ। তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে। চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয় আহতকে। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল? কিরণের বাবা জানিয়েছেন, ছেলের মোবাইলটি খারাপ হয়ে গিয়েছিল। গতকাল, বুধবার ফোনটি সারানো হয়। আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Tarkeshwar: ছেলে-বউমার অত্যাচারে অতিষ্ঠ! তারকেশ্বরে থানার সামনে ধরনা বৃদ্ধ দম্পতির
কয়েক মাস আগে মালদহে মোবাইলে বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিল ৩ বছরের শিশু। মৃতের নাম সুরজ মণ্ডল। বাড়ি, মালদহে কালিয়াচকের রাজনগর ঘোষপাড়ায়। ঘটনার দিনে মায়ের সঙ্গে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিল সুরজ। যখন বাড়ি ফিরছিল, তখনই ঘটে বিপত্তি। কীভাবে? স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তার পাশে কাগজ আর জঞ্জাল জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন এক ব্য়ক্তি। জঞ্জালের সেই স্তুপেই নাকি ছিল খারাপ হয়ে যাওয়া একটি মোবাইল! এদিকে রাস্তার পাশে আগুন জ্বলতে দেখে দাঁড়িয়ে পড়ে সুরজ। ততক্ষণে তেতে উঠেছে মোবাইলের ব্য়াটারি। কিছুক্ষণ পরেই ঘটে বিস্ফোরণ। ব্যাটারির টুকরো ছিটকে এসে লাগে গলায়। গুরুতর আহত হয় তিন বছরের ওই শিশু। স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা আবার চার্জ দেওয়া অবস্থায় মোবাইলে বিস্ফোরণ ঘটে। প্রাণ হারান গৃহবধূ। পরিবার সূত্রের খবর, ঘরের দরজা বন্ধ করে মোবাইলে চার্জ দিচ্ছিলেন তিনি। আচমকাই বিস্ফোরণের মতো ৩ বার আওয়াজ শোনা যায়। এরপর ঘরে ঢুকে দেখা যায়, চার্জ দেওয়া অবস্থাতেই মোবাইলটি ফেটে গিয়েছে এবং গুরুতর জখম অবস্থায় মেঝে পড়ে রয়েছেন ওই মহিলা। শেষপর্যন্ত মারাও যান তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে কোনওমতে রক্ষা পেয়েছিলেন এক যুবক। সেবার কথা বলার সময়েই বিস্ফোরণ ঘটেছিল মোবাইলে। শুধু তাই নয়, বিস্ফোরণের পর আবার আগুন ধরে গিয়েছিল ফোনে। এরপর হাত থেকে মোবাইলটি ফেলে দেন ওই যুবক। ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে দিয়েছিল এলাকায়।