Buffelo Fight: তেড়ে এসে হামলা, মোষের লড়াই দেখতে গিয়ে মৃত্যু গ্রামবাসীর
দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল বা নবান্নের সময় এরকমই এক ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। ওই লড়াইয়ের নামে জাল্লিকাট্টু। ছুটন্ত ষাঁড়কে কাবু করার খেলাই হল জাল্লিকাট্টু। ওই লড়াইয়ে প্রায়ই মারা যান কিছু লোকজন। বলা হয় এই প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো খেলা
অনুপ মুখোপাধ্যায়: মোষের লড়াই দেখতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। অত্যাচারের চোটে পাল্টা হামলা চালাল মোষ। তাতেই প্রাণ গেল এক ব্যক্তির। পুরুলিয়ার পাড়া থানার হাতিমারা গ্রামের ওই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম রথু বাউরি। রবিবার একটি কাড়া বা মোষের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। সেই লড়াই দেখতে এলাকার বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছিলেন হাতিমারায়। তার মধ্যেই এই দুর্ঘটনা। এলাকার এরকম মোষের লড়াইয়ের ঘটনায় আগেও দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই হাতিমারার মোষের লড়াইয়ের কোনও পুলিসি অনুমতি ছিল না। কিন্তু তাতে কিছু এসে যায়নি এলাকার লোকজনের। অন্যান্য বছরের মতো এবারেও মোষের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। পুলিস যে এই লড়াইয়ের কথা জানত না তা বিশ্বাস করাও কঠিন। কারণ রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতেই সিভিক পুলিস রয়েছে। তাদের মাধ্যমে থানায় খবর যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। ফলে পুলিসের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন-Malda: পরকীয়া সন্দেহে মহিলার উপরে নৃশংস অত্যাচার, চুল কেটে কপালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে লেখা হল ৪২০
ওই মোষের লড়াইয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শয়ে শয়ে মানুষ হাজির হাতিমারা গ্রামে জড়ো হন। দুটি মোষের লড়াইয়ের মধ্যেই একটি মোষ তেড়ে গিয়ে আক্রমণ করে এক ব্যক্তিকে। তাতেই গুরুতর আহত হন রথু বাইড়ি নামে ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে বাড়ির লোকজন নিয়ে যান স্থানীয় কুস্তাউর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সক। ওই ঘটনার পরই মোষের লড়াই ভেস্তে যায়।
পুলিস সূত্রে খবর, ওই লড়াইয়ের যারা আয়োজক ছিল তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কারা আয়োজক ছিলেন তাদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। স্থানীয় মানুষজন ছাড়াও কিছু ক্লাবও এই ধরনের লড়াইয়ে আয়োজনে জড়িয়ে থাকে। ফলে এক্ষেত্রে এলাকার রাজনৈতিক দলের পরোক্ষ সম্মতি থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতে পোঙ্গল বা নবান্নের সময় এরকমই এক ষাঁড়ের লড়াইয়ের আয়োজন করা হয়। ওই লড়াইয়ের নামে জাল্লিকাট্টু। ছুটন্ত ষাঁড়কে কাবু করার খেলাই হল জাল্লিকাট্টু। ওই লড়াইয়ে প্রায় প্রতি বছরই মারা যান কিছু লোকজন। বলা হয় এই প্রায় আড়াই হাজার বছরের পুরনো খেলা। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ওই খেলায় মৃত্যু হয় ১৭ জনের। আহত হন ১১০০ জন। এর পরই ২০১৪ সালে জাল্লিকাট্টুর উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। তা নিয়ে গোটা দক্ষিণ ভারত তোলপাড় হয়। ওই খেলার সমর্থনে এগিয়ে আসেন দক্ষিণ ভারতের বহু সেলিব্রিটি।