Malda: পরকীয়া সন্দেহে মহিলার উপরে নৃশংস অত্যাচার, চুল কেটে কপালে ধারাল অস্ত্র দিয়ে লেখা হল ৪২০
Extra Marital Affair in Malda: জানা যাচ্ছে তিনদিন আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও এনিয়ে পুলিসের কোনও তত্পরা দেখা যায়নি। এনিয়ে চাঁচল থানার আইসিকে ডেকে পাঠিয়েছেন জেলা পুলিস সুপার।
রণজয় সিংহ: স্বভাব চরিত্রের ঠিক নেই! মালদায় নৃশংস অত্যাচার করা হল এক মহিলার উপরে। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহে এক মহিলার মাথার চুল কেটে নিল পাড়ার লোকজন। সালিশি সভা বসিয়ে সেই কাজ করেও ক্ষান্ত হয়নি প্রতিবেশীরা। ধারাল অস্ত্র দিয়ে তার কপালে লিখে দেওয়া হল ৪২০। এরপর গ্রাম থেকে বিতাড়িত করা হল তাকে। এমনই মধ্যযুগীয় বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে মালদহের চাঁচল থানার ক্ষেমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কান্ডারনের বেদে পাড়ায়।
আরও পড়ুন-শুরুতেই বিরাট অঘটন, নামিবিয়ার কাছে হেরে গেল এশিয়া চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা!
ওই মহিলার স্বামী ২ বছর আগে মারা গিয়েছে। তারপর থেকে ২ মেয়েকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ছিল ওই মহিলা। এর মধ্যেই মাসখানেক আগে একজনের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। তাদের দাবি মাঝে মধ্য়েই সে রাতের বেলা বাড়ির বাইরে চলে যেত। ওই ঘটনা তার শাশুড়ি পাড়ার লোকজনকে জানালে তারা সালিশিসভা বসায়। সেই সভাতেই তার মাথার চুল কেটে নেওয়া হয়। কাপালে লিখে দেওয়া হয় ৪২০। ওই ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করে দেখেনি জি ২৪ ঘণ্টা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
জানা যাচ্ছে তিনদিন আগে ওই ঘটনা ঘটেছে। তার পরেও এনিয়ে পুলিসের কোনও তত্পরা দেখা যায়নি। এনিয়ে চাঁচল থানার আইসিকে ডেকে পাঠিয়েছেন জেলা পুলিস সুপার। পুলিস জানা সত্বেও কেন তদন্ত করেনি তার তদন্ত করে দেওয়া হবে। ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে চাঁচলের এসডিপিও-র কাছেও।
যে এলাকায় ওই ঘটনা ঘটেছে সেখানে থাকে বেদে সম্প্রদায়ের মানুষজন।স্থানীয় লোকজনের দাবি, ওই এলাকায় আইনকানুন বেজেরাই ঠিক করেন। কিছুদিন আগে যখন ওই পরকীয়ার বিষয়টি সামনে আসে তখন একবার সালিশি সভা ডাকা হয়। পরে ফের সভা ডেকে ওই নিদান দেন গ্রামের মোড়ল। ওই ঘটনা নিয়ে রাজ্যে মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, গতকালই ঘটনাটি শুনেছি। এনিয়ে সুয়ো মোটো করা হয়েছে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না। দেশে আইনি আছে। কেউ নীতি পুলিস হতে পারে না। এিয়ে রিপোর্ট চেয়েছি।