নভেম্বরে ছাত্র-যুবদের থেকে তৃণমূলের পরবর্তী নেতৃত্ব বাছবেন মমতা, পিছনে কি প্রশান্তের মস্তিষ্ক?

মমতার এই পরিকল্পনার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সংগঠিতভাবে নেতৃত্ব বাছাইয়ের নজির তৃণমূলে নেই। এতদিন বন্ধ ঘরে একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

Updated By: Aug 28, 2019, 02:41 PM IST
নভেম্বরে ছাত্র-যুবদের থেকে তৃণমূলের পরবর্তী নেতৃত্ব বাছবেন মমতা, পিছনে কি প্রশান্তের মস্তিষ্ক?

নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্র-যুবদের থেকে নিজে হাতে তৃণমূলে নতুন নেতৃত্ব বাছবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠাদিবসের মঞ্চ থেকে গোটা পরিকল্পনার রূপরেখা ঘোষণা করেন তিনি। একই সঙ্গে সরকার বাঁচাতে আগামী ২ বছর ছাত্রছাত্রীদের লাগাতার লড়াই চালিয়ে যেতে নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, আপনারা ২ বছর দিলে বাংলা দেবে ৫০ বছর।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ১৪ ও ১৫ নভেম্বর কলকাতায় নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এক সমাবেশের আয়োজন হবে। যেখানে মানুষের জন্য কাজ করতে চায় এমন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে পরবর্তী নেতৃত্ব তৈরির কাজ শুরু করব আমি। এজন্য একটি সবুজ ফর্ম প্রকাশ করবে তৃণমূল। সেই ফর্ম পূরণ করে পাঠাতে হবে দলীয় দফতরে। তাতে লিখতে হবে নিজের প্রাপ্তি, যোগ্যতা ও ইচ্ছা। ফর্ম খতিয়ে দেখে আমন্ত্রণ জানানো হবে প্রার্থীদের। আমন্ত্রিত প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে বাছাই করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। ১৪ নভেম্বর রাতে কলকাতায় প্রার্থীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করবে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন মমতা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই তালিকা তৈরি করতে চাইছিলেন তিনি। নিঃস্বার্থ ভাবে যারা মানুষের কাজ করতে চায় শুধুমাত্র তারাই আবেদন করুন, আবেদন মমতার। 

 

শিক্ষকদের সঙ্গেও তৃণমূলনেত্রীর একইরকম আলাপচারিতার আয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

মমতার এই পরিকল্পনার পিছনে প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্ক রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে। সংগঠিতভাবে নেতৃত্ব বাছাইয়ের নজির তৃণমূলে নেই। এতদিন বন্ধ ঘরে একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

জেলে গেলে ভাববো স্বাধীনতা সংগ্রাম করছি, TMCP-র প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

নিয়ম করে এদিনও মোদী সরকারকে বিভিন্ন ইস্যুতে তুলোধোনা করেন মমতা। বলেন, সিপিএমের হার্মাদরা এখন বিজেপির জহ্লাদ হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ দখল করতে চায় বিজেপি। এমনকী সংবাদমাধ্যমকে বিজেপি কিনে নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, অ্যাডভাইজারির দোহাই দিয়ে শুধুমাত্র বিজেপির খবর দেখাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। 

.