Mamata Banerjee | West Bardhaman: সামনেই লোকসভা নির্বাচন, পশ্চিম বর্ধমানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই বৈঠক কেন? পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মূলত শাসকদল আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সুপ্রিমো পশ্চিম বর্ধমান জেলার নেতাদের একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন বলে জানান পঞ্চায়েত, গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ।
লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সুপ্রিমো জরুরি বৈঠক সারলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে গতকাল রাতে।
লোকসভা নির্বাচনের আগে কয়েকদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মন্ত্রী মলয় ঘটক ‘ঘনিষ্ঠ’ ও তার বিরোধী দুই গোষ্ঠীর ‘কাজিয়া’ থামাতে দলনেত্রী, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে সামনে রেখেই কোর কমিটি গঠন করার কথাও বলেছিলেন সেই বৈঠকে সূত্রের খবর।
কিন্তু তারপরও সমস্যা থামেনি বলেই অভিযোগ। এবার বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলা সফরে যাওয়ার আগের দিন সোমবার বিকেল নাগাদ অন্ডাল বিমানবন্দরে বিশেষ বিমানে এসে নামেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: Malbazar: পূরণ হল নিদাম চা-বাগানের দীর্ঘদিনের সেতুর দাবি...
তড়িঘড়ি সড়কপথে তিনি দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সার্কিট হাউসে আসেন। সার্কিট হাউসে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঢোকার পরেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোল দুর্গাপুর ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভাইস চেয়ারম্যান কবি দত্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী সহ দলীয় বিধায়করা এবং পশ্চিম বর্ধমান জেলা আইএনটিটিইউসি-র অভিজিৎ ঘটকদের ঢুকতে দেখা যায়।
আজ সকালে দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে সার্কিট হাউস থেকে বেরোনোর আগে দেখা করতে এলেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, এসবিএসটিসি-র চেয়ারম্যান সুভাষ মন্ডল সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এই বৈঠক কেন?
আরও পড়ুন: Birbhum: লোকসভা ভোটের আগেই কেষ্ট গড়ে উদ্ধার প্রচুর তাজা বোমা!
পশ্চিম বর্ধমান জেলায় মূলত শাসকদল আড়াআড়ি ভাবে দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। মন্ত্রী মলয় ঘটক ‘ঘনিষ্ঠ’ একটি গোষ্ঠী এবং অন্যদিকে মলয় ঘটক ‘বিরোধী’ একটি শিবির। আর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জেলায় শাসক দলের ‘কাঁটা’ দুই শিবিরের এই দ্বন্দ্ব।
সূত্র মারফত খবর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কারা কারা বিজেপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখছেন’ সেই বিষয়ে বৈঠকে সরব হন। উল্লেখ্য এর আগেও কলকাতায় দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই একই ইস্যুতে সরব হয়েছিলেন।
প্রায় ১৮ মিনিট ধরে এই বৈঠক চলে। বৈঠক শেষে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কোনও নেতাই এই বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের সামনে মুখ খুলতে চাননি।
মন্ত্রী মলয় ঘটক শুধু বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন তাই আমরা দেখা করতে এসেছিলাম’। পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং সমবায় মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদারকে আলাদা করে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আসানসোলে যেসব অঞ্চল বিজেপি জিতেছে সেগুলিতে নজর দেওয়ার জন্য।
এছাড়াও দলে থেকেও দলের মিছিল মিটিং-এ অংশ না নেওয়া প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ পারিয়ালকেও এই মিটিং-এ দেখা যায়। সবাইকে একসঙ্গে চলার বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী এমনটাই জানান মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)