গণতন্ত্রের জ্ঞান মোদীর কাছ থেকে নেব না: মমতা
ভোট আসছে তাতছে মাটি। বাংলায় তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি-র শাসনে দেশে মানুষের অধিকারে হাত পড়ছে। আর প্রধানমন্ত্রীই কিনা তাঁকে গণতন্ত্রের পাঠ দিচ্ছেন? নাম না করে মোদীকে তোপ মমতার। একইসঙ্গে তাঁর অভিযোগ, শান্ত বাংলায় অশান্তি বাধানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।
বছরের ১ম দিনই বাংলায় গণতন্ত্র নেই বলে অভিযোগ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর দফতরের টুইটার হ্যান্ডেলেও তুলে দেওয়া হয় সেই অভিযোগ। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে লেখা হয়, আমাদের কর্মীরা পশ্চিমবঙ্গে খুন হচ্ছেন। বিজেপি গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। হিংসার রাজনীতি শেষ হওয়া উচিত। পিএমও-র এই টুইটে বিতর্ক বাধে।
খড়দহ: ছেলেকে টিউশনে দিতে গিয়েছিলেন, ফেরার পথে গৃহবধূকে গণধর্ষণ
ইলামবাজারের সভায় এদিন সব অভিযোগই ফিরিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপির শাসনে মানুষের অধিকারে হাত পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী আবার গণতন্ত্রের পাঠ দিচ্ছেন?” মোদীকে নাম না করে তাঁর কটাক্ষ মানুষের অধিকার খর্ব করে গণতন্ত্রের পাঠ দিচ্ছেন।
পয়লা জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর টেলিভিশন সাক্ষাতকার সম্প্রচারিত হয়। তার আগেই ভোরে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে কী ভাবে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়া হল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
ভোট আসছে তাতছে মাটি। বাংলায় তৃণমূল তাদের রাজনৈতিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। এদিন, বাম-বিজেপি দুপক্ষকেই পাল্টা কড়া আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বীরভূমে শক্তি বাড়াতে সক্রিয় গেরুয়া শিবির। সেই মাটিতে দাঁড়িয়ে বিজেপিই ছিল মমতার মূল নিশানা।
আরও পড়ুন: স্বামীর সঙ্গে বান্ধবীর প্রেম, বিচ্ছেদ, আর্থিক অনটন-গড়ফায় ৩ জনের আত্মহত্যার চেষ্টায় নয়া তথ্য
বিজেপি মমতার কটাক্ষ, “শান্ত বাংলায় অশান্তি চায় বিজেপি। রাজনীতির লাভ কুড়োতে ধর্মকে কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। ইলামবাজারের সভায় হাজির ছিলেন বাউল-লোকশিল্পীরা। সেই মঞ্চেই সম্প্রীতির বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বার্তা স্পষ্ট তাঁর, “লোকসভা ভোটে বিজেপিকে এক ইঞ্চিও জায়গাও ছাড়তে দেওয়া চলবে না।”