কেন্দ্রের টাকায় তৈরি নতুন ফ্লাইওভারে ভাঙছে পোস্ট, নেপথ্যে কারা? শুরু খোঁজ
এইভাবে পোস্ট ভাঙার ফলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে পারে উড়ালপুল এমনটাই মত ওই সংস্থার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাতের অন্ধকারে নব নির্মিত ফ্লাইওভারের স্প্রিং পোস্ট ভেঙে পড়ছে। কোনও ভূতুরে ঘটনা নয়! বরং এর নেপথ্যে বেশ কিছু দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে বলেই ধারণা ঠিকাদার সংস্থার। শুধু তাই নয়, এইভাবে পোস্ট ভাঙার ফলে আগামী দিনে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়তে পারে উড়ালপুল এমনটাই মত ওই সংস্থার।
ঠিক কী অভিযোগ?
গত জানুয়ারি মাসের ৭ তারিখ উদ্বোধন হয়েছে মালবাজার ব্লকের চেল নদীর পাশের একটি ফ্লাইওভার। বর্তমানে রাত দিন এই ফ্লাইওভার দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। রেল লাইন এর ওপর দিয়েই তৈরি হয়েছে ১.৬ কিলোমিটার লম্বা দুই লেনের এই ফ্লাইওভার। প্রায় ১০৬ কোটি টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় সরকার তৈরি করেছে এই উড়ালপুলটি। গাড়ি চলাচল শুরু হয়ে গেলেও কিছু কাজ এখনও চলছে। কিন্তু এরই মধ্যে বিপত্তি।
এই ফ্লাইওভারে উঠতেই দু'দিকে প্লাস্টিকের স্প্রিং পোস্ট লাগানো হয়েছে গত কয়েকদিন আগে। যাতে ফ্লাইওভার এর ওপর দুর্ঘটনা না ঘটে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাতের বেলায় কিছু বাইক চালক বাইক দিয়ে সেই সব পোস্ট ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রায় ২০টি বেশি পোস্ট ভেঙে গিয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছে ঠিকাদার কর্মীরা। মাঝে মধ্যেই এরকম ক্ষতি করছে কে বা কারা তা নিয়েই সঙ্কটে পড়েছেন ঠিকাদার সংস্থার কর্মীরা।
বর্তমানে ঠিকাদার সংস্থার সাইট ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় সিং বলেন, আমরা দিনের বেলায় এই স্প্রিংপোস্টগুলো লাগিয়ে দিচ্ছি আর রাত হলেই কে বা কারা ভেঙে দিচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০টির বেশি পোস্ট ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এইভাবে পোস্টগুলো ভেঙে দিলে ফ্লাইওভারের ওপর দুর্ঘটনা বাড়বে আরও।
তিনি আরও বলেন, কিছুদিন আগে এই ফ্লাইওভারের প্রবেশ পথে একটি প্রায় ৫০ ফিট উচ্চ হাইমাস লাইট লাগানো হয়েছিল। একদিন রাতে একটি বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় বিরাট এই হাইমাস লাইট ভেঙ্গে রাস্তার ওপর পড়ে। বর্তমানে হাইমাস লাইটটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। আমরা দ্রুত আবার তা লাগানোর প্রক্রিয়া চালাচ্ছি। এর আগেই ফ্লাইওভার এর বেশ কিছু দামি লাইট রাতের অন্ধকারে চুরি হয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মালবাজার থানায় অভিযোগও জানিয়েছে ঠিকাদার সংস্থা।