দমদমে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত, নীরব পৌর থেকে পুলিস প্রশাসন
গোটা জমিটির অবস্থান দমদম থানার অন্তর্গত দমদম পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে। অভিযোগ, ওই অঞ্চলের সব জমি নাকি একজন কিনে নিয়েছেন।
সৌমেন ভট্টাচার্য: বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে আর জমি মাফিয়া যেন এখন সমার্থক শব্দ হয়ে উঠেছে দমদমে। বেলঘরিয়া এক্সপ্রেসওয়ের যশোর রোড কানেক্টর থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যেতে গেলেই বাঁদিকে তাকালেই লক্ষ্য করা যায়, ফাঁকা জমি। আর সেই জমিকে কেন্দ্র করেই জমি মাফিয়াদের দাপাদাপি। বলা চলে জমি হাঙরদের অত্যাচারে নাজেহাল ওই অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে বসবাসকারী মানুষেরা।
গোটা জমিটির অবস্থান দমদম থানার অন্তর্গত দমদম পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডে। মানিকপুর রামকৃষ্ণ গড় অঞ্চল জুড়ে। অভিযোগ, ওই অঞ্চলের সব জমি নাকি একজন কিনে নিয়েছেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে বসবাস করে আসছে গোটা দশেক পরিবার। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকজনের জমি ও কেনা রয়েছে ওখানে। তাদের দাবি তাঁরা সম্পূর্ণ সরকারি নিয়ম ও কাগজপত্র মাধ্যমেই ওই স্থানে বাড়িঘর করে বসবাস করছেন পৌরসভাকে কর দিয়ে। তাহলে এখন হঠাৎ করে সেই জমি তাঁদের না হয়ে কী করে পারে? প্রশ্ন ওই অঞ্চলে বসবাসকারী থেকে জমির মালিকদের।
ওই অঞ্চলে বসবাসকারী এক মহিলার দাবি, রাতের অন্ধকার কিংবা দিনের বেলা 'জমি হাঙর' একদল যুবক এসে তাদের উঠে যেতে বলছে, জমি ছেড়ে দিতে বলছে। শুধু তাই নয়, যেসব ফাঁকা জমি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে, তাও তারা ভেঙে দিচ্ছে। বলছে সমস্ত জমি তাদের! দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা বসবাস করছেন, এখন জমি যদি অন্য লোকের হয়ে যায় তাহলে তাঁরা কী করে এখানে রইলেন এতদিন? পৌরসভা কী করে অনুমতি দিল তাঁদের? সেই প্রশ্নই তুলছেন এলাকাবাসী।
ওই অঞ্চলেই জমি রয়েছে এমন এক মহিলার দাবি, বারবার তারা পাঁচিল দেন আর জমি মাফিয়াদের একাংশ এসে সেই পাঁচিল ভেঙে দেয়। পুলিস প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এমনকি পৌরসভার উপ পুরপ্রধান বরুণ নট্টকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু তারপরেও কোনও সুরাহা হয়নি। এক্সপ্রেসওয়ের পাশের ওই ফাঁকা জমি এবং তার সংলগ্ন জমিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই এই ধরনের কার্যকলাপ হয়ে আছে বলে স্থানীয়দের দাবি। যদিও এই বিষয় উপ পুরপ্রধান বরুণ নট্ট জানান, তাঁরা প্রশাসনকে বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে।