ল্যাঠা মাছ পোড়া আর মদ দিয়েই তৈরি হয় ডাকাত কালীর ভোগ
আগে গাছের কুঠুরিতে মায়ের পুজো হতো। এখন মায়ের ঝকঝকে মন্দির হয়েছে। যেখানে হাজারো ভক্তের সমাগম হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সময়ে না কি কালীর সামনে নর বলি হত। বলি দিয়ে ডাকাতরা যেত ডাকাতি করত। ঘন জঙ্গলের মধ্যে মন্দির। জঙ্গলে ছিল বাঘের আতঙ্ক। হয় বাঘ নয় ডাকাত-জঙ্গলে প্রাণ গেছে বহু মানুষের। বাঘের জন্য এলাকার নাম বাঘাটি। এখন বাঘ নেই, জঙ্গল নেই, মগড়া জয়পুরের বাঘাটিতে ডাকাতদের সেই কালী মন্দির রয়েছে। এলাকায় পরিচিত ডাকাত কালীর মন্দির।
আরও পড়ুন- বীরভূমের বামাকালী: পুজোর দিনই রং, চোখ আঁকা হয় পালা গানের পর
একবার নাকি রামপ্রসাদ এখানে ডাকাতদের পাল্লায় পড়েছিলেন। তিনি সাধক মানুষ-হাড়িকাঠে গলা-গান গাইছেন প্রাণ খুলে। ডাকতদেরও চোখে জল। তাঁকে বাড়ি পৌঁছে দিয়ে আসে ডাকাতরা। রামপ্রসাদ ছাড়া পেলেও ছাড় পেতনা সপ্তগ্রাম বন্দরে বাণিজ্য করতে আসা বণিকরা। সেই ডাকাত কালি মন্দিরে এখন সাধারণ মানুষের ভিড়।
আরও পড়ুন- সবরীমালার মতো বীরভূমের এই কালী মণ্ডপে প্রবেশাধিকার পান না মহিলারা
ল্যাঠা মাছ পোড়া আর কারণ দিয়ে ভোগ দেওয়ার রেওয়াজ আজও আছে। আগে গাছের কুঠুরিতে মায়ের পুজো হতো। এখন মায়ের ঝকঝকে মন্দির হয়েছে। যেখানে হাজারো ভক্তের সমাগম হয়।