কাটোয়ায় মহুয়া খুনে, স্বামী উজ্জ্বলভাস্করকে পুলিস হেফাজত ও শাশুড়িকে জেল হেফাজতের নির্দেশ
ওয়েব ডেস্ক: কাটোয়ায় মহুয়া খুনে ব্যবহৃত বিছানার চাদর, গামছা জাতীয় জিনিস এবং বালিশ উদ্ধার করল পুলিস। গৃহবধূ খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে স্বামী উজ্জ্বলভাস্করকে ৭দিনের পুলিস হেফাজত এবং শাশুড়ি ছবিরানিকে ৭দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের।পুলিস হেফাজত খুনি স্কুলশিক্ষকের। জেল হেফাজত স্কুলশিক্ষকের মায়ের।৩ বছর ধরে প্ল্যান করে সুপারি কিলার দিয়ে স্ত্রীকে খুন। বাড়ির দরজা খুলে রেখে দুষ্কৃতীদের ঢোকানো। খুনের সময় ভাড়াটে দুষ্কৃতীদের সঙ্গে হাত মেলানো। এমনকি স্ত্রীর দেহ পাচার করতে দুষ্কৃতীদের হাতে নিজের বাইক তুলে দেওয়া। জেরায় এসবই স্বীকার করেছেন গুণধর স্কুলশিক্ষক। বউমা মহুয়া ঘোষকে খুনে শাশুড়ি ছবিরানি ঘোষ মদত দিয়েছেন বলে অভিযোগ।ঠান্ডা মাথায় মহুয়াকে খুনের সময় হঠাত্ই ঘুম থেকে জেগে যায় তাঁর ছোট্ট ছেলে। চিত্কার করে ওঠায় তার মুখে চেপে ধরে ছবিরানির ঘরে পাঠিয়ে দেন উজ্জ্বলভাস্কর ঘোষ। খুনের সময় নাতিকে ঘরে আটকে রাখেন ছবিরানি। উজ্জ্বলভাস্কর ঘোষ ও ছবিরানি ঘোষকে জেরা করে পুলিস আরও জানতে পেরেছে,জেলে আলাপ হওয়া দুষ্কৃতীকে সুপারি দিয়েছিলেন উজ্জ্বলভাস্কর। খুনের সময় আরও ২ সাগরেদকে ডেকে নিয়েছিল ওই দুষ্কৃতী। রাতের অন্ধকারে ৩ দুষ্কৃতী কাটোয়ার স্টেডিয়াম পাড়ায় উজ্জ্বলভাস্করের ঘরে ঢোকে। কাজ সারার সময় তাদের সঙ্গে হাত লাগিয়েছিলেন গুণধর স্বামী।
আরও পড়ুন ডেঙ্গি আতঙ্কে সল্টলেক
খুনের জন্য ব্যবহৃত বিছানার চাদর, গামছা জাতীয় জিনিস এবং বালিশ রবিবার উদ্ধার করেছে পুলিস। এদিনই গৃহবধূ খুন ও প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে ধৃত স্কুলশিক্ষক উজ্জ্বলভাস্কর ঘোষ ও তাঁর মা ছবিরানি ঘোষকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হয়।উজ্জ্বলভাস্করকে ৭দিনের পুলিস হেফাজত এবং ছবিরানিকে ৭দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তাঁদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন, ৪৯৮A ধারায় বধূ নির্যাতন, ২০১ ধারায় প্রমাণ লোপাট ও ভুল তথ্য দেওয়া এবং ৩৪ ধারায় একই উদ্দেশ্য নিয়ে সমবেত অপরাধের মামলা রুজু করেছে কাটোয়া থানার পুলিস।
আরও পড়ুন খালি হাতে কোনও সতর্কতা ছাড়াই বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ পুলিসের