'উত্তরপ্রদেশের গাড়িতে করে টাকা বিলি করতে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর', তোপ জ্যোতিপ্রিয়র
এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই, এটা নিছকই একটি দুর্ঘটনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর।
নিজস্ব প্রতিবেদন : উত্তরপ্রদেশের একটি গাড়ি করে টাকা বিলি করতে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। তখনই সিআরপিএফ-এর গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এখন নাটক করছেন। বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর গাড়ি দুর্ঘটনার ঘটনায় বললেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
এদিন কল্যাণী যাওয়ার পথে গাইঘাটা থানার হাঁসপুরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। পুলিসের স্টিকার লাগানো একটি গাড়িতে ধাক্কা মারে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ি। ধাক্কার চোটে পুরো তুবড়ে যায় পুলিসের স্টিকার লাগানো গাড়িটির সামনের অংশ। মাথায় চোট পান বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর। তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গাড়ি দুর্ঘটনার পিছনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে আঙুল তোলেন বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা। দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন তাঁরা। প্রায় আধঘণ্টা ধরে চলে অবরোধ। পরে পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনে। উত্তেজিত বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা পুলিসের গাড়িও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন, ঘরে লোক ঢুকিয়ে মারার হুমকি ভারতীর, পাল্টা গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি মমতার
তবে এই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র নেই, এটা নিছকই একটি দুর্ঘটনা বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার বিশ্বচাঁদ ঠাকুর। তিনি বলেন, "ওই গাড়িটি সিআরপিএফ-এর ছিল। ভাড়া করা গাড়ি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দুর্ঘটনা ঘটানো হয়েছে এমন কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। অভিযোগ হলে খতিয়ে দেখা হবে।" এর পিছনে তৃণমূল যুক্ত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন বনগাঁ কেন্দ্রের শাসকদল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরও।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে গোবরডাঙায় এসে শান্তনু ঠাকুরের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তোপ দাগেন, "শান্তনু ঠাকুর নাটক করছেন। হেরে যাবে বলে এরকম নাটক শুরু করেছেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী শান্তনু ঠাকুর উত্তরপ্রদেশের একটি গাড়ি করে টাকা নিয়ে বের হয়েছিলেন মানুষকে দেওয়ার জন্য। তখন সিআরপিএফ-এর গাড়ির সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের গাড়ির ধাক্কা লাগে। গাড়িতে ২৫ লাখ টাকা ছিল। আরএসএস-এর ৫ জন যুবক ছিল। খবর পেয়ে গাইঘাটা থানার পুলিস ঘটনাস্থলে যায়। তখন পুলিসের গাড়ি ভাঙচুর করেন বিজেপির লোকেরা।"