কেন্দ্রের প্রকল্পগুলি থেকে শুধু বঞ্চিত করাই নয়; রাজ্যে বিভেদের রাজনীতিও করছেন মমতা: নাড্ডা
নাড্ডা বলেন, জনধন প্রকল্পের অধীনে দেশের ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই গরিব মানুষ
নিজস্ব প্রতিবেদন: কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্প থেকে রাজ্যের গরিব মানুষদের বঞ্চিত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে ক্ষমতা আনুন একমাসের মধ্যে কেন্দ্রের সব প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের মানুষ পেয়ে যাবেন। একুশের নির্বাচনের আগে সোমবার উত্তরবঙ্গ থেকে এভাবেই রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা।
আরও পড়ুন-কোভিড আবহেই পুজো! কীভাবে নিয়ন্ত্রিত হবে আইন-শৃঙ্খলা, প্রশাসনিক বৈঠক নবান্নে
সোমবার শিলিগুড়িতে দলের এক সভায় নাড্ডা বলেন, মোদী সরকারের নীতি হল 'সবকা সাথ সবকা বিকাশ'। সবাইকে সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। সবার বিকাশ করতে হবে। এর উল্টো দিক হল, সমাজকে ভেঙে দাও, বিভেদ তৈরি কর এবং ক্ষমতা থাক। পশ্চিমবঙ্গে এটাই করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার।
করোনা মহামারীর সময়ে কেন্দ্রের একাধিক সহায়তা প্রকল্পের কথা টেনে নাড্ডা বলেন, জনধন প্রকল্পের অধীনে দেশের ২০ কোটি মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১,৫০০ টাকা করে দেওয়া হয়েছে। এরা সবাই গরিব মানুষ। গত কয়েক মাসে দেশের ৮ কোটি মহিলাকে বিনামূল্যে ৩টি রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়া হয়েছে। দেশের ৮০ কোটি মানুষকে দীপাবলি ও ছট পর্যন্ত ৫ কিলো গম কিংবা চাল এবং এক কিলো ডাল দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের এইসব পদক্ষেপে সমাজের উপকার হয়েছে কিনা তা আপনারাই ঠিক করবেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধে না নেওয়ার অভিযোগ প্রায়ই তোলে রাজ্য বিজেপি। সেই কথা টেনে আনলেন নাড্ডাও। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, দেশের ১০ কোটি কৃষকদের জন্য চালু করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধি প্রকল্প। ইতিমধ্যেই ৮ কোটি কৃষক ওই সুবিধে পেয়ে গিয়েছেন। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের সরকার এরাজ্যে তা চালু হতে দেয়নি। আপনাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এপ্রিলে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনুন এক মাসের মধ্যে ওই সুবিধে এরাজ্যের ৭৬ লাখ কৃষক পেয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন-মমতাকে পুজোয় শাড়ি দিলেন হাসিনা
আয়ূষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও রাজ্যকে নিশানা করেন নাড্ডা। বলেন, সমাজের একেবারে দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের জন্য বছরে ৫ লাখ টাকার স্বাস্থ্য বিমার সুবিধে দিয়েছে মোদী সরকার। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষ সেই প্রকল্প থেকে বঞ্চিত। কারণ সেই মমতাজি। পদ্মফুলে ভোট দিন, এপ্রিল মাসে সব সুবিধে পাবেন।