কী উদ্দেশ্যে খুন? জিয়াগঞ্জকাণ্ডে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া চেষ্টা তদন্তকারীদের

শনিবার প্রতিবেশী, প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করেন তদন্তকারী অফিসাররা।

Updated By: Oct 12, 2019, 10:28 PM IST
কী উদ্দেশ্যে খুন? জিয়াগঞ্জকাণ্ডে রহস্যের শিকড়ে পৌঁছতে মরিয়া চেষ্টা তদন্তকারীদের

নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্যবসায়িক কারণ, নাকি ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপড়েন? জিয়াগঞ্জকাণ্ডের তদন্তে উঠে আসছে বহু তত্ত্ব। খুনের কারণ নিয়ে এখনও অন্ধকারে পুলিস। জট ছাড়াতে এদিন প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি এবং ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল।

জিয়াগঞ্জে শিক্ষক পরিবার খুনে ধোঁয়াশার পর্দা এখনও সরেনি। রহস্যের শিকড়ে পৌছতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তদন্তকারী অফিসাররা। শনিবার প্রতিবেশী, প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে ঘটনার পুনর্নিমাণ করেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার দিন এক অপরিচিত যুবককে বাড়ি থেকে বেরিয়ে দৌড়ে পালাতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে রাস্তা থেকে ওই যুবকের রক্তমাখা গেঞ্জি উদ্ধার হয়। সেই নিয়েও কয়েকটি প্রশ্ন সামনে আসছে। কে সেই যুবক? খুনের সময় ঘরে ক'জন ছিল? মাঝরাস্তায় রক্তমাখা গেঞ্জি ফেলে কেন চম্পট? খুনের পরেও সে কেন বাড়িতে লুকিয়ে ছিল?

এদিন স্বপন কর্মকার নামে সাগরদিঘির এক গাড়ি চালকের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা। শেষবার সাগরদিঘি থেকে এই চালকের গাড়িতেই জিয়াগঞ্জ ফেরেন বন্ধুপ্রকাশ। পাশাপাশি এদিন জিয়াগঞ্জে পৌছয় সিআইডি ও ফরেনসিকের বিশেষজ্ঞ দল। 

তত্ত্ব-সম্ভাবনা খতিয়ে দেখে তদন্ত এগোচ্ছে। ডায়েরি, চিঠিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সন্দেহ দানা বাঁধছে বন্ধুপ্রকাশের বিজনেস পার্টনার সৌভিক বণিককে ঘিরে। পুজোর পরে একসঙ্গে নতুন একটি ব্যবসা শুরু করার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। 

শুক্রবার রামপুরহাটের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সৌভিক বণিকের বাড়িতে হানা দেয় মুর্শিদাবাদ পুলিস। তবে তিনি বাড়িতে ছিলেন না। পরিবারের লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। প্রায় ঘণ্টা দুয়েক ধরে চলে তল্লাসি। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশকিছু নথিপত্র। সিউড়িতে জাতীয় সড়কের পাশে তাঁর ভাড়া বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। 

আরও পড়ুন- Exclusive: তথাগতর পর রাজ্যপাল হচ্ছেন আর এক বাঙালি বিজেপি নেতা

.