Jalpaiguri: সরকারি স্কুলে কমছে পড়ুয়া, চিন্তিত শিক্ষকদের অভিনব উদ্যোগ জলপাইগুড়িতে

স্কুলের প্রাক্তনী বিদ্যাসাগর মল্লিক। তিনি জানালেন তাদের গ্রামের স্কুলে খুব ভালো পঠন পাঠন হয়। এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেওয়ার পর বর্তমানে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস বলেন 'শিক্ষকদের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনিয়। তারা যদি স্কুলগুলিতে ভালোভাবে পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যান তবে আমরা এত খরচ করে কেন শহরের স্কুলে আমাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাবো'।

Updated By: Jan 11, 2024, 04:43 PM IST
Jalpaiguri: সরকারি স্কুলে কমছে পড়ুয়া, চিন্তিত শিক্ষকদের অভিনব উদ্যোগ জলপাইগুড়িতে
নিজস্ব চিত্র

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রত্যন্ত গ্রামে থাকা প্রাথমিক স্কুলগুলিতে কচিকাঁচা পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়ানের পাশাপাশি ড্রপ আউটদের স্কুলমুখী করতে নজিরবিহীন উদ্যোগ সরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের। এতে ফলও পাওয়া যাচ্ছে। খুশি শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা।

সরকার পোষিত প্রাথমিক স্কুলে ড্রপ আউটদের স্কুলমুখি করার পাশাপাশি আরও বেশি সংখ্যক কচিকাঁচা পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে জনসংযোগে জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা দফতর। সেই নির্দেশ পালন করতে এবার বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি হাটে বাজারে থাকা চায়ের দোকানগুলিতে গিয়েও শিক্ষকদের নিবিড় জনসংযোগের মাধ্যমে পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াবার চেষ্টা করতে দেখা গেলো। 

গত কয়েক বছরে সরকারি বিদ্যালয়গুলির প্রতি মানুষের আস্থা হারিয়ে যেতে বসেছিল। দেখা যাচ্ছিল বেশিরভাগ অভিভাবক তাদের সন্তানকে শহরের সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলেও ভর্তি করাচ্ছিলেন। এর ফলে গ্রামের স্কুল গুলিতে পড়ুয়ার সংখ্যা কমছিল। এরপর আসে করোনা মহামারী। যার জেরে প্রায় দুই বছর বন্ধ থাকে স্কুলগুলি। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে স্কুল গুলি খুললে দেখা যায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়ার সংখ্যা। তাই নতুন প্রজন্মকে স্কুলমুখি করতে নিবিড় জনসংযোগের মাধ্যমে অভিনব উদ্যোগ নিলো শিক্ষা দফতর।

আরও পড়ুন: Chinsurah: খোঁড়া রাস্তায় ধস চুঁচুড়ায়, বিয়ের মরসুমের আগে চিন্তায় এলাকাবাসী

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের দোমহনী গ্রামপঞ্চায়েতের মরিচবাড়ি গ্রামে অবস্থিত বার্নিশ চড় স্টেট প্ল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা আরও বাড়াতে ওই এলাকার বাড়ি বাড়ি যাওয়ার পাশাপাশি তারা দোমহনী বাজার এলাকায় থাকা চায়ের দোকানগুলিতে গিয়ে জনসংযোগ কর্মসূচি চালান। শিক্ষক শিক্ষিকাদের এহেন আবেদনে অভিভাবকদের সাড়া দিতেও দেখা গিয়েছে।

স্কুলের টিচার ইনচার্জ পম্পি আলম বলেন বর্তমানে জনসংযোগ সংক্রান্ত নির্দেশিকা আসলেও আমরা কিন্তু এই প্রক্রিয়া অনেক আগে থেকে চালিয়ে যাচ্ছি। যার ফলে আমাদের স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা কমেনি। উলটে বেড়েছে।

স্কুলের প্রাক্তনী বিদ্যাসাগর মল্লিক। তিনি জানালেন তাদের গ্রামের স্কুলে খুব ভালো পঠন পাঠন হয়। এখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেওয়ার পর বর্তমানে সে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে।

আরও পড়ুন: Asansol: ধর্ষণ করে খুন? পিকনিকে গিয়ে নিখোঁজ, ৩ দিন পর মিলল যুবতীর অর্ধনগ্ন দেহ!

স্থানীয় বাসিন্দা শ্যামল বিশ্বাস বলেন 'শিক্ষকদের এই উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনিয়। তারা যদি স্কুলগুলিতে ভালোভাবে পঠন পাঠন প্রক্রিয়া চালিয়ে যান তবে আমরা এত খরচ করে কেন শহরের স্কুলে আমাদের ছেলেমেয়েদের পাঠাবো'।

ডি আই প্রাইমারি শ্যামল চন্দ্র রায় বলেন, ‘চলতি মাসে আমরা ছাত্র সপ্তাহ পালন করছি। আমাদের শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকারি স্কুলে মিড ডে মিল, কন্যাশ্রী, স্কলারশিপ সহ যেই সমস্ত সরকারি সুযোগ সুবিধা পায় সেই গুলিকে সামনে রেখে অভিভাবকদের মধ্যে নিবিড় জনসংযোগের মাধ্যমে প্রচার চালাতে বলা হয়েছে। যার মূল আরও বেশি সংখ্যক কচিকাঁচাদের স্কুলমুখী করা এবং ড্রপ আউট দের শিক্ষার অঙ্গনে ফিরিয়ে আনা’।

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

 

.