Jalpaiguri: তিস্তায় ক্রমাগত বাড়ছে জলস্তর, জারি হরপা বানের সতর্কতা
অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ক্রমশই বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই তিস্তায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। হরপা বানের সতর্ক বার্তাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে গত কয়েক দিনের লাগাতার বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায়।
প্রদ্যুৎ দাস: রাতভর পাহাড় ও সমতলের অবিরাম বৃষ্টি। তিস্তা ও জলঢাকা নদীতে হলুদ সর্তকতা জারি। NH 31, জলঢাকা নদীর পাশাপাশি দোমোহনি থেকে বাংলাদেশ বর্ডার পর্যন্ত অসুরক্ষিত এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করল জলপাইগুড়ি সেচ দপ্তর। জল বাড়ছে তিস্তায়।
জেলা জুড়ে রাতভর টানা বৃষ্টি। সোমবার সকাল থেকে বৃষ্টিতে নাজেহাল জেলাবাসী। ভারী বৃষ্টিতে এদিন সকালে জলপাইগুড়ি শহরের আনন্দ চন্দ্র কলেজ সংলগ্ন এলাকায় জলপাইগুড়ি, শিলিগুড়িগামী রাস্তার উপরে বিশাল আকার গাছের ডাল ভেঙে পড়ায় যাতায়াতে বিঘ্ন ঘটে। এমনকি বিদ্যুতের তারও ছিঁড়ে পড়ে রাস্তার উপরে। ফলে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে ছুটে আসেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। যুদ্ধকালীন তৎপরায় কাজ চলছে বলে জানা গিয়েছে। দ্রুত এই রাস্তায় যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: জল বাড়ছে তিস্তা-জলঢাকায়, জারি হলুদ সতর্কতা... প্রবল বৃষ্টিতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি!
অবিরাম বৃষ্টির জেরে তিস্তার জল ক্রমশই বাড়ছে জলপাইগুড়িতে। ইতিমধ্যেই তিস্তায় হলুদ সঙ্কেত জারি করা হয়েছে। হরপা বানের সতর্ক বার্তাও রয়েছে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকেও সতর্কতা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সিকিম ও ভুটান পাহাড়ে গত কয়েক দিনের লাগাতার বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে বিভিন্ন এলাকায়। তিস্তা, জলঢাকা, ডায়না সহ বিভিন্ন নদীর জল অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে।
এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গের আকাশে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বর্ষা। ইতিমধ্যেই হরপা বানে বিধ্বস্ত উত্তর সিকিম। আটকে থাকা পর্যটকদের উদ্ধারের কাজে নেমেছে সেনা বাহিনী।
আরও পড়ুন: Bengal Weather: সপ্তাহের শুরুতে কালো মেঘে ঢাকল আকাশ, স্বস্তির বৃষ্টি শহর থেকে জেলায়
এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গের সমতলে শুরু হয়েছে ভারি বর্ষণ। জলপাইগুড়িতে অবস্থিত সেন্ট্রাল ফ্লাড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে সোমবারও তিস্তা এবং এনএইচ ৩১ জলঢাকা নদীর অসংরক্ষিত এলাকায় হলুদ সঙ্কেত জারি রয়েছে।
দোমোহনিতে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮৫.৪৯ মিলিমিটার। জলঢাকা এনএইচ ৩১-এ বৃষ্টিপাত হয়েছে ৮০.৩৪ মিলিমিটার। সমতলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার কারণে ইতিমধ্যেই তিস্তা, জলঢাকা, লিশ, ঘিসের মতো পাহাড়ি নদীগুলোর জলস্তর ক্রমশই বাড়ছে।