Jalpaiguri: মর্গে জমে ২০১৮ থেকে লাশের স্তূপ! মুখ্যমন্ত্রীর সফরকালেই ময়নাতদন্ত বয়কট চিকিৎসকদের
২০১৮ সাল থেকে মৃতদেহ মর্গে পরে আছে। ডিসপোজাল হয়নি। মর্গে দুর্গন্ধ এবং মানব শরীরে জন্ম নেওয়া ম্যাগোট পোকায় ভরে গিয়েছে।
প্রদ্যুৎ দাস: মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকালেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের কাজ বন্ধ করে দিলেন চিকিৎসকেরা। লাশের পাহাড় মর্গে। দুর্গন্ধ। চরম হয়রানির শিকার মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। বেশ কয়েক মাস ধরেই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিয়ম মাফিক জেলা পুলিস এবং পুরপ্রসাননের কাছে আবেদন করে জানাচ্ছিল দ্রুত মর্গে থাকা বেওয়ারিশ লাশগুলোর সদগতি করার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। কিন্তু সেই ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ।
এদিকে বেওয়ারিশ লাশের সংখ্যা বেড়ে যায়। মৃতদেহগুলোতে পচন ধরে যায়। তীব্র দুর্গন্ধের পরিবেশ তৈরি হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল লাগোয়া পুলিস মর্গে। এদিকে তারমধ্যে আজ জেলার বিভিন্ন থানা থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনার মৃতদেহগুলো ময়না তদন্তের জন্য পুলিস মর্গে পাঠালেও, বিকেল ৩টে পর্যন্ত কোনও মৃতদেহের ময়নাতদন্তের কাজ করতে আসেননি, এই কাজে নিযুক্ত কোনও চিকিৎসক। মর্গের বাইরে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে থাকেন কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত ডেঙ্গুয়া ঝাড় চা বাগানের বাসিন্দা সুরেশ লাকরা।
তিনি বলেন, মৃতদেহটি এমনিতেই অনেক দিন বাদে পাওয়া যায়, তার পর আজ ডাক্তারবাবুরা কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে চূড়ান্ত অব্যবস্থা। অপরদিকে এই প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক ভাস্কর ভট্টাচার্য টেলিফোনে জানান, ২০১৮ সাল থেকে মৃতদেহ মর্গে পরে আছে। ডিসপোজাল হয়নি। বহু বার এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তপক্ষকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। মর্গে দুর্গন্ধ এবং মানব শরীরে জন্ম নেওয়া ম্যাগোট পোকায় ভরে গিয়েছে। এমন পরিবেশে ময়নাতদন্তের কাজ বাধ্য হয়েই বন্ধ করতে বাধ্য হলাম আমরা। লাশ ঘরের বেহাল দশা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় জানান, বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখছি। পুরসভা ও পুলিসের সঙ্গে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।