রাজ্যের দোষেই JEE (main)-এ বঞ্চিত বাংলা, স্বপক্ষে প্রমাণ পেশ ধনখড়ের
এর আগেও জয়েন্ট (মেন) ইস্যুতে একই কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যের দোষেই জয়েন্ট (মেন) প্রবেশিকায় স্থান পায়নি বাংলা ভাষা। মঙ্গলবার একথা বোঝাতেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে টুইট করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। ২০১৩-র একটি চিঠি এবং ২০১৯-এর একটি চিঠিও টুইটের সঙ্গে পোস্ট করেছেন তিনি। এর আগেও জয়েন্ট (মেন) ইস্যুতে একই কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।
@MamataOfficial. First communication of October 10,2013 and now one on November 07,2019. The last one after I had publicly pleaded that steps need to be taken by State of W B. There should be concern only for the welfare of Students. pic.twitter.com/u00tsiRCGB
— Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) November 20, 2019
প্রথম চিঠিতে দেখা যাচ্ছে ২০১৩ সালের একটি চিঠিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে যে, ২০১৪ শিক্ষাবর্ষে JEE(MAIN)-এ অংশগ্রহণ করবে না রাজ্য। পাশাপাশি ২০১৯-এর চিঠিতে রাজ্যের তরফে বাংলা ভাষাকে অন্তভূক্ত করার কথা বলা হয়েছে। সবমিলিয়ে ট্যুইট করে সেই মন্তব্যকেই আরও খানিকটা জোরাল করলেন তিনি। আরও একবার স্পষ্ট হল রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত।
কিছুদিন আগেই জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় বাংলা ভাষাকে ব্রাত্য রাখার অভিযোগে সরব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। টুইট পাল্টা টুইটে ক্রমশ প্রকট হতে থাকে বাগযুদ্ধ। ধরনায় বসেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। একই ব্যাপারে প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে শুক্রবার রাজ্যের বিরোধী বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল রাজভবনে হাজির হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রের বৈঠকে তো থাকেন না, জয়েন্টে বাংলার আর্জিতে চিঠি পাঠালে দেখব: বাবুল
ধনখড় তাঁদের জানিয়ে দেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে করে দেখবেন। সত্যিই বঞ্চনা করা হলে তা হয়ে থাকলে অবশ্য তিনি কেন্দ্রের সঙ্গে দ্রুত কথা বলবেন। এ দিন রাজভবন থেকে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েও এ ব্যাপারে রাজ্যের বিরোধী দলনেতাদের দেওয়া রাজ্যপালের আশ্বাসের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়। যদিও বাংলা ভাষা স্থান না পাওয়ার কারণ হিসেবে বাংরবার কাঠগোড়ায় উঠেছে রাজ্যই।
ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির সম্প্রতি প্রকাশিত একটি বিবৃতি বলছে, ২০১৩ সালে জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষায় সম্মত হয়েছিল সবকটি রাজ্য। ওই বছরেই সব রাজ্যগুলিকে অনুরোধ পাঠানো হয়েছিল। শুধুমাত্র গুজরাট তাদের রাজ্যের পড়ুয়াদের জন্য গুজরাটিতে প্রশ্নপত্র করার আবেদন করে। ২০১৪ সালে মরাঠি ও উর্দুতে প্রশ্নপত্র করার আর্জি করে মহারাষ্ট্র। ২০১৬ সালে আবেদন প্রত্যাহার করে মহারাষ্ট্র। তবে গুজরাটি ভাষা চালু থাকে। আর কোনও রাজ্য ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির কাছে আবেদন পাঠায়নি।