Itahar Shootout : 'অসাবধানবশত' চলা গুলিতেই মৃত BJP নেতা, দাবি পুলিসের
বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে ওদের দুজনকে দেখান মিঠুন ঘোষ। সেইসময়ই সুকুমার ঘোষের হাত থেকে 'অসাবধনতাবশত' গুলি চলে যায়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজনীতির কোনও যোগ নেই। শুটআউটের ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক কোনও শত্রুটাও নেই। 'অসাবধানবশত' গুলি চলেছিল। আর 'অসাবধানবশত' চলা গুলিতেই মৃত্য়ু হয়েছে বিজেপির যুব মোর্চার উত্তর দিনাজপুর জেলার সহ সভাপতি মিঠুন ঘোষের। অভিযুক্তরা মৃতের পরিচিত। সন্ধ্যা থেকে তাদের সঙ্গেই ছিলেন মিঠুন ঘোষ। এমনটাই জানালেন রায়গঞ্জ পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার অর্ষ ভার্মা।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মাহাত দুজনেই মিঠুন ঘোষের পরিচিত। ৩ জন মিলে গতকাল হোটেলে খাওয়াদাওয়া করেন। তারপর বাড়ি যান মিঠুন ঘোষ। তবে বাড়িতে সুকুমার ঘোষ ও সন্তোষ মাহাতকে নিয়ে যাননি মিঠুন ঘোষ। বাড়ি থেকে একটু দূরে দুজনকে দাঁড় করিয়ে রেখেই ভিতরে যান মিঠুন ঘোষ। তারপর বাড়ি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে ওদের দুজনকে দেখান মিঠুন ঘোষ। সেইসময়ই সুকুমার ঘোষের হাত থেকে 'অসাবধনতাবশত' গুলি চলে যায়। এখানে কোনও রাজনীতির যোগ নেই। ইতিমধ্যেই সন্তোষ মাহাতকে ধরা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত সুকুমার ঘোষকে ধরার জন্য তল্লাশি চলছে।
আরও পড়ুন, Weather: পুজো পেরিয়েও অসময়ে বৃষ্টি চলছেই, কেন বর্ষার এমন খামখেয়ালিপনা?
প্রসঙ্গত, রবিবার রাত ১০টার সময় শুটআউটের ঘটনাটি ঘটে। ইটাহারের রাজগ্রামে বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ হন মিঠুন ঘোষ। তাঁর খুড়তুতো ভাই অজিত ঘোষ তাঁকে রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট হাসাপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। যদিও নিহত মিঠুন ঘোষের পরিবার ও বিজেপির অভিযোগ, মিঠুনকে গুলি করেছে তৃণমুল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শাসকদলের স্থানীয় নেতারা।