Insha Eraz: শেখপাড়ায় চাঁদের আলো! চন্দ্রযান-৩ মিশনে যুক্ত ছিলেন হাওড়ার ছেলে ইনসা ইরাজও...
Insha Eraz: হাওড়ার ছেলে ইনসা ইরাজ। ইসরোর বিজ্ঞানী। থাকেন শ্রীহরিকোটায় সরকারি ফ্ল্যাটে। সারাদিন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকতেন। রাতের দিকে মাঝে মাঝে বাবা-মাকে ফোন করে পরিবারের খবরাখবর নিতেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বুধবার চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে চাঁদে অবতরণের পর খুশির হাওয়া হাওড়ার শেখ পাড়ায়। এই এলাকারই ছেলে ইনশা ইরাজ। 'ইসরো'র বিজ্ঞানী। এবং প্রথম থেকেই চন্দ্রযানের মিশনে যুক্ত। এক সপ্তাহ ধরে পরিবারের ছেলে ইনশা ইরাজের কাজের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছে তাঁর গোটা পরিবার।
আরও পড়ুন: Chandrayaan 3: ভারতের চন্দ্রবিজয়ে বাংলার কৃতী সন্তানদের গৌরবগাথা
গতকাল সন্ধ্যায় যখন চন্দ্রযান-৩ অবতরণ করছিল সেই সময়ে উত্তেজনার প্রহর গুনছিলেন মহম্মদ কামালউদ্দিন ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এর পরেই সফল অবতরণ চন্দ্রযান-৩-এর। ইনশা ইরাজের বাবা কামালউদ্দিন জানান, বরাবরই মেধাবী ছাত্র ছিল ইনশা। পার্ক সার্কাস এলাকার একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পরে তিনি হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ২০১৫ সালে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে বি.টেক পাস করেন। এরপর ২০১৬ সালে ইসরোর সর্বভারতীয় পরীক্ষায় প্রথমবারেই ১৮ র্যাঙ্ক করেন। ২০১৭ সালে বিজ্ঞানী হিসেবে ইসরোতে যোগদান করেন তিনি। তারপর থেকেই তিনি চন্দ্রযান নিয়েই গবেষণায় যুক্ত।
ইনশা থাকেন শ্রীহরিকোটায় সরকারি ফ্ল্যাটে। সারাদিন কাজকর্মে ব্যস্ত থাকতেন। একমাত্র রাতের দিকে মাঝে মাঝে বাবা-মাকে ফোন করে পরিবারের খবর নিতেন। তবে তাঁর কাজকর্ম সম্পর্কে একটি কথাও বলতেন না। ইরাজের মা নিলুফা বেগম জানান, এই সাফল্য শুধু তাঁর ছেলের তো নয়, গোটা টিমের। ইসরোর সমস্ত বিজ্ঞানীর সাফল্য। ইসরোর সব বিজ্ঞানীই তাঁর সন্তানের মতো। তিনি চান ভবিষ্যতে তাঁরা আরও এগিয়ে যান।
আরও পড়ুন: Chandrayaan 3 Update: মঙ্গলে ঊষা বুধে পা! এবারের চন্দ্রযানকে বাঁচিয়ে দিলেন কি বাংলার খনা-ই?
গতকাল ছেলের সাফল্যের পর খুশিতে নিজের হাতে পোলাও এবং চিকেন রেঁধেছেন তিনি। এখন অপেক্ষা করছেন, কবে ঘরের ছেলে ঘরে ফেরে। ইরাজের এক আত্মীয় সিরাজ আহমেদ জানান, ছোটবেলা থেকেই ইরাজ স্বপ্ন দেখত মহাকাশ গবেষণার। ছবি আঁকত স্পেসশিপের। তিনি আরও বলেন, এখন নাসা ভুলে গিয়ে সব জায়গায় শুধু ইসরোর জয়ধ্বনি। এই টিমে ইরাজ কাজ করায় তাঁরা গর্বিত।