কাটল জট, এসইজেড ছাড়াই নিউটাউনে জমি নিল ইনফোসিস
হাতিশালায় ৫০ একর জমিতে ইনফোসিসের ক্যাম্পাস তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই, জমি মাপজোকের কাজ শেষ। প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। জমির দাম হিসাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে ৭৫ কোটি টাকা মিটিয়েছে ইনফোসিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীদের জন্য সুখবর। নিউটাউনের হাতিশালায় ৫০ একর জমি হাতে নিল ইনফোসিস। মে মাস থেকে শুরু হয়ে যাবে ক্যাম্পাস তৈরির কাজ। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে ৩০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে।
১০ বছরের টানাপোড়েনে ইতি, নিউটাউনে জমির পজেশন নিল ইনফোসিস। শুরুটা সেই বাম আমলে। তথ্যপ্রযুক্তি জায়ান্ট ইনফোসিসের আগ্রহে সাড়া দিয়ে পঞ্চাশ একর জমি দেয় তত্কালীন রাজ্য সরকার। কিন্তু, পালাবদলের পর তৃণমূল সরকার বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের (এসইজেড) সুবিধা না দেওয়ায় আটকে যায় প্রকল্পের কাজ। তারপর গঙ্গা দিয়ে গড়িয়েছে অনেক জল। সমস্যা সমাধানে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে, কিন্তু কিছুই হয়নি। শেষপর্যন্ত বরফ গলে গতবছর। এসইজেড না হলেও জমির মালিকানা ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে ছাড় দিতে রাজি হয় রাজ্য। বৃত্ত সম্পূর্ণ হল বুধবার। নিউটাউনের হাতিশালায় ৫০ একর জমির আইনি আধিকার পেল ইনফোসিস।
হাতিশালায় ৫০ একর জমিতে ইনফোসিসের ক্যাম্পাস তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই, জমি মাপজোকের কাজ শেষ। প্রাথমিক কাজ শুরুর জন্য ১০০ কোটি বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। জমির দাম হিসাবে ইতিমধ্যেই রাজ্যকে ৭৫ কোটি টাকা মিটিয়েছে ইনফোসিস।
নগরোন্নয় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, মে মাসের মধ্যেই ক্যাম্পাস তৈরির কাজে হাত দেবে ইনফোসিস। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হলে ৩০০০ জনের কর্মসংস্থান হবে। ইনফোসিসের ঠিক পাশেই উইপ্রোকেও ৫০ একর জমি দেওয়া হয়েছে। দুই তথ্য প্রযুক্তি জায়ান্ট পুরোদমে কাজ শুরু করলে রাজ্য তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে ছবিটা আরও উজ্বল হবে, একথা বলাই যায়।