পড়শিরাই একঘরে করেছিলেন, খবরের জেরে ফুল-মিষ্টি নিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস নার্সকে
শনিবার সকালেই অন্য ছবি। এলাকার পুরপ্রধান পাড়া প্রতিবেশী নিয়েই পৌঁছলেন তাঁর দরজায়। মুখে হাসি। পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস। সঙ্গে এলাকার সচেতন বাসিন্দারা। আর্জি, ফিরুন কাজে। আমরা পাশে আছি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: জি ২৪ ঘণ্টার খবরের জের। সোমবার থেকেই কাজে ফিরবেন ব্যারাকপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্স সুচিত্রা প্রামাণিক। গৃহবন্দি নার্সের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান মলয় ঘোষ। পাশে দাঁড়ালেন এলাকার সচেতন বাসিন্দারাও। ফিরল স্বস্তি।
এমনটা যে হতে পারে, স্বপ্নেও ভাবেননি ব্যারাকপুর মহকুমা হাসপাতালের নার্স সুচিত্রা প্রামাণিক। বাড়ির বাইরে যে সামাজিক বয়কটের নোটিস ঝুলছিল, সেটাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। সকাল থেকেই বাড়ির চেহারাটাও অন্যরকম। ফুল-মিষ্টি নিয়ে হাজির প্রতিবেশীরা।
হাসপাতালে যাচ্ছেন নিয়মিত। কোন রোগীর শুশ্রুষা করছেন, তার ঠিক নেই। পাড়ায় এসেও বেরোচ্ছেন। তাঁকে হাসপাতালে যাওয়া বন্ধ করতে হবে বলে দাবি উঠেছিল। চরম মানসিক নির্যাতনের মধ্যে কাটাচ্ছিলেন দিন। শুক্রবার জি ২৪ ঘণ্টাকে জানান, ছেড়েই দেবেন চাকরি।
শনিবার সকালেই অন্য ছবি। এলাকার পুরপ্রধান পাড়া প্রতিবেশী নিয়েই পৌঁছলেন তাঁর দরজায়। মুখে হাসি। পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস। সঙ্গে এলাকার সচেতন বাসিন্দারা। আর্জি, ফিরুন কাজে। আমরা পাশে আছি। অবশেষে কাজে ফেরার সিদ্ধান্ত সুচিত্রার। জানালেন, সোমবার থেকেই ফিরবেন কাজে। ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের আদর্শে অনুপ্রাণিত যাঁরা, তাঁদের কি হেরে গেলে চলে? বোধহয় না...