পাঁচ বছর প্রেমের পর বিয়ে, স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
বিয়ের অল্প দিন পর থেকেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথা থেঁতলে খুন করে থানায় এসে আত্মসমর্পণ করল স্বামী। শুক্রবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের মধুবন গ্রামে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতার নাম রমা তিওয়ারি। অভিযুক্ত স্বামী যাদব মাজিকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিয়ের আগে প্রায় পাঁচ বছর ধরে যাদব মাজির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল রমা তিওয়ারির। তারপর ২০১৬ সালে যুগল বিয়ে করে । কিন্তু বিয়ের অল্প দিন পর থেকেই দুজনের মধ্যে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। অভিযোগ, বিভিন্ন সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য স্ত্রী রমার উপর অত্যাচার শুরু করে যাদব। শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিল রমা। তারমধ্যেই স্বামীর অত্যাচারে শ্বশুরবাড়িতে জর্জরিত হতে থাকে বছর পঁচিশের গৃহবধূ।
আরও পড়ুন, চলন্ত ট্রেনে উঠতে গিয়ে পড়ে গেলেন যাত্রী, নাটকীয় রক্ষা, দেখুন ভিডিও
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে যায় । রমার আত্মীয়-স্বজনদের অভিযোগ, বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দিতে না পারলেই রমার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করত স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এদিকে এই পরিস্থিতির মধ্যেই রমা অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়ে। কিন্তু তারপরেও দাম্পত্য কলহ মেটার বদলে, বরং আরও বাড়তে শুরু করে ।
শ্বশুরবাড়ি নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পেতে এরপর কিছুদিন আগে পুলিশের দ্বারস্থ হন ওই গৃহবধূ । পুলিশের মধ্যস্থতায় দুপক্ষ আবার একসঙ্গে থাকতে রাজি হয় । কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই আজ সকালে বাড়ির সামনের রাস্তার উপর রমার উপর চড়াও হয় যাদব মাজি। ইট দিয়ে স্ত্রীর মাথায় সজোরে আঘাত করে সে। ইটের আঘাতে থেঁতলে যায় গৃহবধূর মাথা।
আরও পড়ুন, বর-কনে তৈরি, মন্ত্র পড়ে চারহাত এক হওয়ার অপেক্ষা, এমন সময় বিয়েবাড়িতে ছন্দপতন
গুরুতর আহত অবস্থায় সঙ্গে সঙ্গেই ওই গৃহবধুকে বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। বিকেলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । স্ত্রীর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই সটান বিষ্ণুপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত যাদব মাজি। অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। যদিও শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যরা পলাতক। বাকিদের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি। খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে সরব গ্রামবাসী।