Howrah Water Crisis: জলের সমস্যা মেটাতে হাওড়ায় খুলছে কন্ট্রোল রুম, ফোন করলেই পৌঁছে যাবে জলের গাড়ি
Howrah Water Crisis: শহরের বেশকিছু এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকছে জলের গাড়়ি। যাতে পথচলতি মানুষজন জল পান। এছাড়াও এখন থেকে স্প্রিংকলারের সাহায্যে শহরে রাস্তাঘাটে জল ছড়ানো হচ্ছে। যাতে রাস্তায় ধুলো না ওড়ে এবং গরম থেকে খানিকটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়
দেবব্রত ঘোষ: গরম বাড়তেই হাওড়ার কিছু এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই সমস্য়া মেটাতে হাওড়া পুরসভায় খোলা হল কন্ট্রোল রুম। সেই কন্ট্রোল রুমের নম্বর ০৩৩ ২৬৩৮ ৩২১২/১৩। আগামিকাল থেকে ওই কন্ট্রোল রুমের পরিষেবা পাওয়া যাবে। পানীয় জলের কোনও সমস্যা দেখা দিলে ওই নম্বরে ফোন করলেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনকি পৌঁছে যাবে জলের গাডিও।
আরও পড়ুন-অবশেষে স্বস্তি, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শোনাল হাওয়া অফিস
হাওড়া পুরসভার প্রশাসক মন্ডলীর চেয়ারম্যান সুজয় চক্রবর্তী জানান যেভাবে গরম বাড়ছে তাতে পানীয় জলের চাহিদা বাড়ছে। বিশেষ করে সংযোজিত ওয়ার্ডগুলোতে জলের সমস্যা রয়েছে। পানীয় জলের সমস্যা মেটাতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কোথাও পাইপ লাইন খারাপ হোক কিংবা অন্য কোনো সমস্যা, ফোন পেলেই দ্রুত পৌঁছে যাবেন ইঞ্জিনিয়াররা। এছাড়া বাসিন্দারা চাইলে পানীয় জলের গাড়ি পাঠাবে পুরসভা।
সুজয়বাবু বলেন, হাওড়া পুরসভার ১২০০ লিটারের ৩৩ টি গাড়ি এবং ২০০০ লিটারের ৬ টি গাড়ি আছে। এই জল সরবরাহকারী গাড়িগুলি থেকে ওই এলাকায় জল পাঠানো হবে। বর্তমানে হাওড়া ময়দান ও সালকিয়া সহ শহরের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সারাদিন পানীয় জলের গাড়ি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকছে। যাতে পথচলতি মানুষজন জল পান। এছাড়াও এখন থেকে স্প্রিংকলারের সাহায্যে শহরে রাস্তাঘাটে জল ছড়ানো হচ্ছে। যাতে রাস্তায় ধুলো না ওড়ে এবং গরম থেকে খানিকটা হলেও রেহাই পাওয়া যায়।
বিমল পাল নামে ২২ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা জানান টাইম কলে জল এলেও তা পরিমাণে কম আসছে। ফলে সমস্যা হচ্ছে। কন্ট্রোল রুম খোলার উদ্যোগ ভালো তবে সেটা কতটা কার্যকর হয় সেটাই দেখার।
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের পূর্বভাস অনুযায়ী জলের জন্য এখনও ৪ দিন অপেক্ষা করতে হবে। হাওয়া অফিসের দাবি আগামী ২০ এপ্রিলের পর বিশেষ করে ২১ ও ২২ তারিখ দক্ষিণর ৪ জেলা ও উত্তরের ৫ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই হালকা বৃষ্টি দাবদাহ থেকে দীর্ঘস্থায়ী কোনও স্বস্তি আনতে পারবে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের ১৭ জেলায় বর্তমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। তাতে এই হালকা বৃষ্টি হয়তে কয়েক ঘণ্টার জন্য স্বস্তি দিতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মোদিনীপুর, বর্ধমান ও বাঁকুড়ায়। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াংয়ে বৃষ্চি হতে পারে। তবে কলকাতার জন্য ভালো কোনও খবর নেই।