কুয়োর ভিতরে মিলল যুবতী গৃহবধূর দেহ! চাঞ্চল্য
বছর তিনেক আগে অন্ডালের উখড়ার কাঁকরডাঙা এলাকার অরবিন্দ সাউয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের সবিতা সাউয়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে অশান্তি থেকে নির্যাতন শুরু হয় সবিতার উপর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কুয়োর ভিতর থেকে উদ্ধার হল গৃহবধূর দেহ। গৃহবধূকে নির্যাতন ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগকে ঘিরে উত্তেজনা। উত্তেজিত জনতা চড়াও হয় মৃতার স্বামী ও তাঁর পরিবারের ওপর। আটক করা হয়েছে স্বামী, জা ও শাশুড়িকে। মঙ্গলবার সকালে পশ্চিম বর্ধমান জেলার অন্ডাল থানার উখড়ার কাঁকরডাঙা এলাকার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। মৃতার নাম সবিতা সাউ (২০)।
বছর তিনেক আগে অন্ডালের উখড়ার কাঁকরডাঙা এলাকার অরবিন্দ সাউয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের সবিতা সাউয়ের। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই সাংসারিক অশান্তি শুরু হয়। বিভিন্ন কারণে অশান্তি থেকে নির্যাতন শুরু হয় সবিতার উপর। সবিতার এক মাসি উখড়া এলাকায় থাকেন। অনেকবার মাসি সবিতার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে অশান্তি মেটানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু কাজ হয়নি। অশান্তি চরমে পৌঁছয় দিন কয়েক ধরে। রীতিমতো মারধর করা শুরু হয়েছিল সবিতাকে। সোমবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। অত্যাচার থেকে বাঁচতেই মঙ্গলবার সকালে সবিতা ঝাঁপ দেয় কুয়োতে।
সবিতার মৃত্যুর খবর পেয়ে স্থানীয়রা চড়াও হন তাঁর শ্বশুরবাড়িতে। মারধর করা হয় মৃতার স্বামী অরবিন্দ সাউ ও তার পরিবারের সদস্যদের। উত্তেজিত জনতার রোষ আছড়ে পড়ে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের ওপর। পুলিস উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে অভিযুক্ত অরবিন্দ সাউ, শাশুড়ি অন্নপূর্ণা দেবী ও জা সবিতা দেবীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় সবিতার বাপের বাড়িতে। দেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন, সাদ্দামকে খুনের অস্ত্র দিত কে? মধ্যপ্রদেশে এসটিএফের জালে আরও এক ISIS জঙ্গি!