ফাঁকা বাড়িতে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে! থানায় অভিযোগ নিতে অস্বীকার
দশমীর দিন এঘটনা চোখে পড়ে যায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ির। তাতেই গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ফাঁকা বাড়িতে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক পুলিসকর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। আরও অভিযোগ, নির্যাতিতার অভিযোগ নিতেও অস্বীকার করেছে কেতুগ্রাম থানার পুলিস।
জানা গিয়েছে, কেতুগ্রামের গুরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা নির্যাতিতা গৃহবধূ।। স্বামী কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। চেন্নাইয়ের একটি বেকারিতে তিনি কর্মরত। গত ৫ মাস যাবৎ সেখানেই আছেন তিনি। ফলে বাড়িতে একাই থাকতেন ওই গৃহবধূ। অভিযোগ, সেই সুযোগ নিয়েই ওই গৃহবধূকে উত্যক্ত করা শুরু করে অভিযুক্ত পুলিস কর্মী।
অভিযুক্ত পুলিস কর্মী ষষ্ঠী মাঝি নির্যাতিতার প্রতিবেশী। স্বামী বাইরে কাজে চলে যাওয়ার পর থেকেই ফাঁকা বাড়িতে তিনি ওই গৃহবধূর উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধরে ওই গৃহবধূকে লাগাতার ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে দশমীর দিনও।
সেদিন এঘটনা চোখে পড়ে যায় ওই গৃহবধূর শ্বশুর-শাশুড়ির। তাতেই গোটা বিষয়টি জানাজানি হয়। অভিযোগ, এরপর অভিযুক্ত পুলিস কর্মীর বাড়ির লোককে বিষয়টি জানাতে গেলে, পাল্টা তাঁদের উপরই চড়াও হন তাঁরা। নির্যাতিতা ও তাঁর বাড়ির লোককে মারধর করে অভিযুক্তের পরিবার।
আরও পড়ুন, প্রতারণার বদলা নিতেই খুন, ৭ দিন পর জিয়াগঞ্জ হত্যাকাণ্ডের কিনারা পুলিসের
অভিযোগ, এরপরই কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে যান নির্যাতিতার পরিবার। কিন্তু তাদের অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে কেতুগ্রাম থানার পুলিস। এই ঘটনায় বিচারের আশায় আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে নির্যাতিতার পরিবার।