‘রান্নায় নুন বেশি হয়েছে ভাই’, দিদির ফোন পেয়েই বিপদ আঁচ করতে পেরেছিলেন ভাই
‘বাড়িতে অশান্তি হচ্ছে। ভাই তাড়াতাড়ি চলে আয়…’
নিজস্ব প্রতিবেদন: রান্নায় নুনের পরিমাণ কখনও কখনও বেশি হয়ে যেত। তাই নিয়ে স্বামী-শ্বশুরবাড়ির শ্লেষের মুখে পড়তে হত বছর পঁচিশের মেয়েটিকে। ঝামেলা-ঝগড়া-চেঁচামেচি ছিল নিত্য নৈমিক্তিক ঘটনা। প্রতিবেশীরাও ব্যাপারটির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তাই রবিবার রাতেও যখন চিত্কার-চেঁচামেচি কানে ভেসে এসেছিল, খুব একটা আমল দেননি তাঁরা। আর তাতেই গার্হস্থ্য হিংসার বলি হল আরও একটি প্রাণ। ঘটনাটি ঘটেছে সোনারপুরের রাধানগরে।
ছ’বছর আগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশের পরই রাধানগরের বাসিন্দা সুজয় কর্মদারের সঙ্গে বিয়ে হয় ফুলেরহাটের কৃষ্ণার। অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে সুজয় কৃষ্ণার ওপর অত্যাচার করতেন। প্রতিবেশীদের দাবি, মূলত রান্না করা নিয়েই সমস্যা হত। কৃষ্ণার হাতের রান্না খুব একটা পছন্দ ছিল না সুজর ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। তা নিয়ে সাংসারিক অশান্তি ছিলই।
আরও পড়ুন: দেহ চুল্লিতে ঢোকানো হচ্ছিল, আচমকাই বেজে উঠল শ্মশান কর্মীর ফোন!
রবিবার রাতেও চরমে ওঠে অশান্তি। ভাই তোতন হালদারকে ফোন করে অশান্তি কথা জানিয়েওছিলেন দিদি। কৃষ্ণার বাপের বাড়ির দাবি, রবিবার রাতে পৌনে দশটা নাগাদ ফোন আসে। কাঁদতে কাঁদতে কৃষ্ণা জানিয়েছিলেন, ‘বাড়িতে অশান্তি হচ্ছে। ভাই তাড়াতাড়ি চলে আয়…’ ফোন পেয়েই দিদির শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন তোতন। সাড়ে দশটা নাগাদ সেখানে পৌঁছন। পথে তিন বার ও বাড়ির বন্ধ দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে আরও দুবার ফোন করেন তোতন। কিন্তু কৃষ্ণা তার ফোন ধরেননি।
আরও পড়ুন: যাত্রীর পিঠের ব্যাগের চেন খুলতেই কপালে ঘাম এল রেলপুলিসের!
প্রতিবেশীদের কাছ থেকে অশান্তির কথা জানতে পারেন তোতন। আরও জানতে পারেন, তাঁর জামাইবাবু সুজয় কিছুক্ষণ আগেই বাড়ির দরজায় বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে গিয়েছেন। এরপরই সোনারপুর থানায় খবর দেন তোতন। বাড়ির দরজা ভাঙলে দেখা যায়, শোওয়ার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় শাড়ির ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন কৃষ্ণা।
আরও পড়ুন: চোখে পড়েছে ছানি, হাসপাতালে হেঁটে এলেন বাঘমামা
কৃষ্ণার বাপের বাড়ির অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই তাঁকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছেন। সোনারপুর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্তরা পলাতক।