Women Trafficking: ঘটকালির আড়ালে মেয়ে পাচার! কাশ্মীর পুলিসের হাতে গ্রেফতার বাংলার মহিলা
Hooghly News: জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পাচার হওয়া মহিলার গোপন জবানবন্দিতেই জইতুনের নাম জানতে পারে পুলিস।
বিধান সরকার: মগড়া থানার বাঁশবেড়িয়া ইসলামপাড়ার বাসিন্দা জইতুন বিবি। পেশায় ঘটক বলেই পরিচিত সে। গত বছর দুয়েক ধরেই সেখানকার নিত্য় বাসিন্দা তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ আনে পুলিস। অভিযোগ, ঘটকালী করার আড়ালে নারী পাচার চক্র শুরু করেন। মূলত দরিদ্র পরিবারে মেয়েদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিতেন। তার বিনিময়ে মেয়ের পরিবারকে টাকাও দিতেন। জম্মু কাশ্মীরে এরকম অনেক মেয়েকে পাঠিয়েছেন বলে স্থানীয়দের দাবি।
আরও পড়ুন, HS Exam 2025: উচ্চমাধ্যমিকে এবার একেবারে নতুন সিলেবাস! সঙ্গে পাল্টাল পদ্ধতিও...
গত ১৬ ফেব্রুয়ারী জম্মু-কাশ্মীরের বড়গাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। বড়গামের সেন্টার অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সখি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সেই অভিযোগে তদন্ত করতে গিয়ে নারী পাচারের ঘটনা সামনে আসে। জম্মু-কাশ্মীর পুলিস ঘটনার তদন্তে নেমে পাঁচজনকে গ্রেফতার করে। পাচার হওয়া মহিলার গোপন জবানবন্দিতেই জইতুনের নাম জানতে পারে পুলিস।
বুধবার জম্মু-কাশ্মীর থেকে দুই মহিলা পুলিস কর্মী-সহ মোট ছয় জন পুলিসকর্মী মগড়ায় আসে। মগড়া পুলিসের সাহায্যে ইসলামপারা থেকে জইতুন ও তার সঙ্গী মহঃ ফিরোজকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে ১০ দিনের ট্রানজিট রিমান্ডে কাশ্মীরে নিয়ে যায় পুলিস। অভিযুক্ত মহিলার প্রতিবেশি মহঃ সাহবুদ্দিন বলেন, জইতুন ঘটকালি করে। অনেক মেয়েকে কাশ্মীরে বিয়ে দিয়েছে। কাশ্মীর থেকে ছেলেরা আসে মা-বাবাকে টাকা দিয়ে অনেক মেয়েকে বিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দেয়। এতদিন এই ধরনের অভিযোগ শুনিনি। তবে গরীব মেয়েদের এভাবে বিক্রি করত।
অভিযুক্তের স্বামী সুরেশ রায় বলেন, তিনি দু-দিন আগে বিহারে দেশের বাড়ি থেকে এসেছেন। কী হয়েছে জানেন না। কাশ্মীরের পুলিস এসে ধরে নিয়ে গিয়েছে। তবে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)